আন্দোলনে বাড়ছে জনসমর্থন, ‘তিলোত্তমা ফান্ড’ গড়ে সাহায্য শহরবাসীর

টানা ২২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও আন্দোলনে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷ রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে দুপুর গড়িয়ে গেলেও এখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনেই বসে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃষ্টি,…

টানা ২২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও আন্দোলনে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷ রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে দুপুর গড়িয়ে গেলেও এখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনেই বসে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃষ্টি, চড়া রোদকে উপেক্ষা করেই বিক্ষোভে সামিল তাঁরা৷ 

নির্যাতিতার বাবা-মার পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের পাশে রয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা৷ মঙ্গলবার রাত থেকেই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষও। কেউ পৌঁছে দিয়েছেন শুকনো খাবার নিয়ে,কেউ আবার জল। কেউ মাথার উপর ছাউনির ব্যবস্থা করে দিয়েছে৷ এ ভাবেই রাতভোর চলেছে অবস্থান। রাতের পর সকাল হতেই অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদের পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়ারাও খাবার নিয়ে এগিয়ে এসেছে আন্দোলনরত চিকিৎসকদরে কাছে৷

   

সকাল থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকরদের আন্দোলনে দলে দলে এসে যোগ দিয়েছেন ‘বহিরাগত’রা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিতে সুর মিলিয়েছেন আমজনতা৷
লালবাজার অভিযানেও সাধারণ মানুষের মানবিক মুখ দেখেছিল সকলেই৷ এবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানেও সেই ছবিই ফের ফুটে উঠল৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাস থেকে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে অবস্থান মঞ্চে। আন্দোলনকারীদের সুবিধার্থে খুলে দেওয়া হয়েছে ক্যাম্পাসের শৌচাগারগুলিও।

সব থেকে মানবিক বিষয় জোকার এক আবাসনের বাসিন্দারা আবার তৈরি করে ফেলেছেন ‘তিলোত্তমা ফান্ড’! সেখানকার বহু আবাসিকরাও তাঁদের সাধ্যমতো টাকা দিয়েছেন এই তহবিলে৷