ক্লাসরুমেই সিঁদুরদান, বিয়ে! তদন্তে ‘নাটক’ তত্ত্ব খারিজ! ইস্তফা দিলেন ম্যাকাউটের অধ্যাপিকা

কলকাতা: ‘বিয়ে’ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক! অবশেষে ইস্তফা দিলেন ম্যাকাউটের সেই অধ্যাপিকা। হরিণঘাটার ম্যাকাউট ক্যাম্পাসে ‘বিয়ে’ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই ওই অধ্যাপিকাকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ক্লাসরুমের…

professor of makaut haringhata campus resigns

কলকাতা: ‘বিয়ে’ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক! অবশেষে ইস্তফা দিলেন ম্যাকাউটের সেই অধ্যাপিকা। হরিণঘাটার ম্যাকাউট ক্যাম্পাসে ‘বিয়ে’ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই ওই অধ্যাপিকাকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ক্লাসরুমের মধ্যেই ছাত্রের সঙ্গে মালাবদল, সিঁদুরদানে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল তাঁর৷ সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে৷ যদিও ওই অধ্যাপিকার দাবি ছিল, এটি একটি নাটকের অংশ৷ সত্যিকারের বিয়ে নয়৷ এর পরই শুরু হয় অভ্যন্তরীণ তদন্ত৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অধ্যাপিকার ‘নাটক’ তত্ত্ব খারিজ হয়ে যায়। এর পরই পদত্যাগ করেন অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত সপ্তাহের ঘটনা৷ হরিণঘাটায় রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও অধ্যাপিকার বিয়ের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়৷ যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। অভ্যন্তরীণ তদন্তে তাঁর দাবি ধোপে টেকেনি৷ এর পরেই ম্যাকাউটের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজির বিভাগীয় প্রধান এবং অধ্যাপক – দুই পদ থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন পায়েল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাদপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।

   

পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, অসৎ উদ্দেশ্য়ে বিয়ের ক্লিপিংস কেটে ভাইরাল করা হয়েছে৷ এই ঘটনাটি পুরোটাই নাটকের স্ক্রিপ্ট। যদিও তদন্ত রিপোর্ট দেখার পর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, ‘এটা নাটকের কোনও অংশ নয়, বরং নোংরা মজা’ ছিল। বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে রাজভবনে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।’ এরই মধ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ পত্র জমা দেন পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হওয়ার পর তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে. নিজের ইস্তফা পত্রে পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, এই ঘটনায় তাঁর সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। বাড়িতে মা, স্বামী আছেন। তাই তিনি আর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতে চান না৷ 

২৯ তারিখ ম্যাকাউট বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের ভাইরাল ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যায়, অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজির বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিঁদুর পরাচ্ছেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র৷ মালাবদলও করেন তাঁরা৷  অধ্যাপিকার বক্তব্য ছিল, এটা সত্যিকারের বিয়ে নয়, ফ্রেশার্স ওয়েলকামের জন্য নাটকের মহড়া চলছিল৷ এটা তারই অংশ৷