লড়াই এখন শাসক বনাম বিরোধী। তবে রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে তৃণমূলের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি যুদ্ধরথের সারথী হয়ে আছে। তবে এই কল্যাণমূলক প্রকল্পকে মাথায় রেখেই ২০২১-এর নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলকে সতর্ক বার্তা দিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। এই রাজনৈতিক যুদ্ধে তৃণমূল পিছিয়ে পড়বে বলেই জানিয়ে দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা বাড়তে থাকায়, তাদের এলাকা দখলে রাখা কঠিন হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২ টি, বিজেপি ১৮ টি এবং কংগ্রেস দুটি আসনে জয়লাভ করেছিল।
এর পাশাপাশি তিনি এক সাক্ষাৎকারে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভাল ফলের ব্যাপারে অশ্বাস দিয়ে সমগ্র বিষয়টিকেই জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। প্রশান্তবাবু বলেছেন, এবারের নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় তৃণমূলের থেকে তুলনামূলক ভাল ফল করবে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, এবার বাংলায় বিজেপির ফল হবে সারপ্রাইসিং। প্রশান্ত কিশোরের এই কথা সোনার পর তাঁকে অনেকেই বিজেপির দালাল বলেন। কিন্তু তিনি যদি এটা না বলেন, তাহলে নিজের কর্মক্ষেত্রে সৎ থাকতে পারেন না। নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তিনি কোনও দলের মুখপাত্র নন।
আগামী এক দেড় মাসে, বাংলার মানুষ তাঁকে সত্যিকারের বিজেপি এজেন্ট বলে ডাকবে , সেব্যাপারে তিনি নিশ্চিৎ বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বিজেপি এবারের নির্বাচনে খুবই ভাল ফল করবে । এই বিষয়টি যে কোনও তৃণমূল সমর্থকের কাছে খারাপ লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।তবে সামনের সময় তৃণমূলের পক্ষে খুব কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশান্ত কিশোর শুধু বাংলা নিয়েই নয়, সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির দুর্বলতা নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপির সব থেকে বড় দুর্বলতা হল প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওপরে নির্ভরতা। মোদীর পরে বিজেপির কে প্রধান নেতা হবেন, তা কেউই জানে না। তবে তিনি নিশ্চিত, মোদীর পরে যিনি বিজেপির নেতা হবেন, তিনি মোদীর থেকে বেশি ডানপন্থী হবেন।
সমস্ত বিষয়টি সোনার পর তৃণমুলের রাজনৈতিক অন্দরেও একটু হলেও দুর্বলতার সঞ্চার হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।