চোপড়ায় নারী নির্যাতন: ‘এখন মুখে কুলুপ কেন?’ মমতাকে নিশানা মোদীর

বাংলায় নারী নির্যাতনের কতা তুলে ধরে রাজ্যসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তীক্ষ্ণ ভাষায় বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীর নাম উচ্চারণ না করলেও প্রশ্ন তুললেন,…

PM Modi targets CM Mamata Banerjee in Rajya Sabha over women abuse in Chopra, চোপড়ায় নারী নির্যাতন: 'এখন মুখে কুলুপ কেন?' মমতাকে নিশানা মোদীর

বাংলায় নারী নির্যাতনের কতা তুলে ধরে রাজ্যসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তীক্ষ্ণ ভাষায় বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীর নাম উচ্চারণ না করলেও প্রশ্ন তুললেন, ‘কেন রাজ্যে মহিলা নির্যাতন নিয়ে নারী প্রগতিবাদী নেত্রী এখনও চুপ?’

মঙ্গলে লোকসভার পর বুধবার রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর। রাজ্যসভাতেও প্রধানমন্ত্রী তৃতীয়বার এনডিএ সরকারের ক্ষমতায় আসার সাফল্যগুলি তুলে ধরেন। আক্রমণ শানান কংগ্রেসকে। সবায় না থাকলেও পরোক্ষে আক্রমণ করেন সনিয়া গান্ধীকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা হল সেই মানুষগুলি, যারা অটো পাইলট এবং রিমোট পাইলট মোডে সরকার চালাত। ওরা কাজ করায় বিশ্বাস করে না, শুধু অপেক্ষা করতে জানে। সেখানেই আমরা কঠোর পরিশ্রমে কোনও খামতি রাখিনি। বিগত ১০ বছরে আমরা যা কাজ করেছি, এবার তা আরও বাড়ানো হবে। আমাদের যে স্বপ্ন, তাতে এই ১০ বছর শুধু সূচনা ছিল, এবার মূল কাজ শুরু হবে।”

   

বড় ভবিষ্যৎবাণী মোদীর, আরও দু’দশক ক্ষমতায় বিজেপি-ই

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই অবশ্য বিরোধী সাংসদরা টানা স্লোগান দিতে থাকেন। বলেন ‘এলওপি-কো বলনে দো’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য না থামানোয়, তারা স্লোগান বদলে ‘ঝুট বোলনা বন্ধ করো’, ‘শরম করো’। যদিও বিরোধীদের দাবি মানেনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। এরপরই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে বিরোধী সাংসদরা একযোগে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

এরপরই বিরোধী শূন্য রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের করা প্রশ্নেরই জবাব শুনতে পারছে না বিরোধীরা। ওরা শুধু পালাতে পারে।’

মমতার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলা! প্রথম শুনানিতে কী নির্দেশ হাইকোর্টের?

এ রাজ্যের চোপড়ার কথা তুলে ধরে মোদীর সংযোজন, ‘সরকার বিরোধী রাজনীতির একটি বিষয় আমার খুব খারাপ লাগে। এমন স্পর্শকাতর বিষয়েও যখন রাজনীতি করা হয়, তখন দেশবাসী বিশেষ করে নারীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত, অপমানিত হয়। বিরোধী দলের নির্বাচনী মনোভাব খুবই উদ্বেগজনক। আমি কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলছি না বা রাজনৈতিক পয়েন্ট স্কোর করার জন্য বলছি না। কিছুক্ষণ আগে বাংলার একটা ভিডিও দেখলাম। কিছু লোক একজন মহিলাকে মারছে এবং সে চিৎকার করছে কিন্তু লোকেরা ভিডিও তৈরিতে ব্যস্ত। সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে তাও খুবই ভয়াবহ। গতকাল থেকে বড় বড় নেতাদের কথা শুনছি, তাঁদের মুখ থেকে একটা কথাও বের হচ্ছে না। বড় বড় মানুষও যখন এ ধরনের ঘটনা উপেক্ষা করেন, তখন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মা-বোনরা বেশি কষ্ট পান। রাজনীতি এতটাই নির্বাচনী হওয়া উচিত যে যখন তা তাঁদের শোভা পায় না, তখন তাঁরা রেগে যান।’ নাম না করে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে বললেন নরেন্দ্র মোদী।’