ভোট পঞ্চমীতেও প্রাসঙ্গিক সন্ন্যাসীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য। আগেই ভারত সেবাশ্রমের কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সরাসরি রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই অভিয়োগে অভিযুক্ত করেন রামকৃষ্ণ মিশনের আসানসোল শাখাকেও। এখানেই না থেমে সোমবার কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে হিংসায় মদতের ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। যা বঙ্গ রাজনীতিতে নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী। নিন্দা করেছেন রবিবার রাতে জলাপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের একটি ভবনে দুষ্কৃতী হামলার।
গত শনিবার সাধুদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য়ের সমালোচনা করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। মোদী পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কার্তিক হারাজের। সোমবারও মোদী নাম না করে নিশানা করলেন মমতাকে। তাঁর কথা, ‘রামকষ্ণ মিশন, সাধু-সন্তদের অপমান বাংলার মানুষ কিছুতেই মাফ করবেন না।’
Kartick Maharaj: কার্তিক মহারাজের বদলে রেজিনগরে হিংসার নেপথ্যে মমতাই, এক রা হাত-পদ্মের!
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ বাংলার আধ্যাত্মিক পরিচয়। এখানকার মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে এই মহান সংস্থাগুলিকে ধমকাচ্ছেন। আর তাঁর ধমকে তৃণমূলের গুন্ডাদের সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে।’
জলাপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে দুষ্কৃতী হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুনতে পেলাম, জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে গত রাতে ভাঙচুর হয়েছে। আশ্রমের কর্মচারীদের নিগ্রহ করা হয়েছে। তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাংলাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার? কখনও বাংলায় রামকৃষ্ণ মিশনকে হুমকি দেওয়া হবে, আশ্রমে ভাঙচুর হবে, কোনও দেশবাসী কখনও ভেবেছিলেন? কিন্তু নিজের ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে সব সীমা পার করে গিয়েছে তৃণমূল।’
Mamata’s instructions to Dev: ঘাটালে ভোট ২৫ মে, তার আগেই দেবকে বাড়তি দায়িত্ব দিলেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ করে মোদী বলেন, ‘বাংলায় আপনাদের ধর্মবিশ্বাসে আক্রমণ করার দায়িত্ব নিয়েছে তৃণমূল সরকার। তৃণমূলের নেতারা বলে, রাম মন্দির অপবিত্র। আপনারা বলুন, রাম মন্দির অপবিত্র না তৃণমূল অপবিত্র? তৃণমূল সরকার রাম নবমী পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ফরমান জারি করে। তৃণমূলের গুন্ডাদের দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা করানো হয়। এখন তো এখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু সাধুদের হুমকি দিচ্ছেন।’
রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রমের মত প্রতিষ্টানগুলোতে তাঁর ভক্তির কথা বোঝাতে মোদী বলেন, ‘সবাই জানেন, আমার জীবনে রামকষ্ণ মিশনের ভূমিকা কতটা। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে কত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আমার। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও রাতে থাকতে হলে রামকৃষ্ণ মিশন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে থাকি।’