দুর্গাপুরে মোদী, বার্তা স্পষ্ট ‘সেটিং নেই’

রাজ্যে তিনদিনের ব্যবধানে দুটো বড় জনসভা।  আজ দুর্গাপুরে মোদী (PM Modi Durgapur Rally)। তিনদিন পর ২১ এ জুলাইয়ে ময়দানে মমতা৷ শিল্পে উন্নতি। শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের হাল…

PM Modi Durgapur Rally: No TMC Setting, Focus on Corruption-Free Bengal and Industrial Revival

রাজ্যে তিনদিনের ব্যবধানে দুটো বড় জনসভা।  আজ দুর্গাপুরে মোদী (PM Modi Durgapur Rally)। তিনদিন পর ২১ এ জুলাইয়ে ময়দানে মমতা৷ শিল্পে উন্নতি। শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের হাল ফেরানো। ৫০০০ কোটির প্রকল্পের উদ্বোধন এসব তো থাকছেই। কিন্তু গোটা বাংলার বিজেপি নেতার ও কর্মীরা যে বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশা রাখছেন তা হল ‘ নো সেটিং টু টিএমসি’!

মোদীর সভার প্রস্তুতির দায়িত্বে রয়েছেন এরকম এক বঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতার কথায়, ‘ মোদীজী সারা ভারতের উন্নয়নে কাজ করছেন৷ একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প আসছে। সেটা দুর্গাপুরেও থাকবে। কিন্তু দুর্গাপুরের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দেবেন। তৃণমূলের সঙ্গে কোথাও কোনও সেটিং নেই৷’

   

তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সেটিং তত্ত্ব প্রচার করে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ভালো মতো চাপে ফেলেছিল বাম-কংগ্রেস। যদিও শুভেন্দুর মতো বিজেপি নেতাদের তৃণমূল বিরোধী প্রচার বারবার দাবি করেছে যে কোথাও কোনও সেটিং নেই। তবে দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পরও অনেক না হওয়া গ্রেফতারি মাঝে মাঝে বিজেপি-তৃণমূল সেটিংয়ের দিকে আঙুল তুলেছে।

Advertisements

২০১৯ লোকসভা ও ২০২১ বিধানসভায় উত্তরবঙ্গের পর রাঢ়বঙ্গয় বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছিল। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে সেই রাঢ়বঙ্গের বাঁকুড়া, দু্র্গাপুর, আসানসোলের মতো আসগুলিতে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির৷ এই নিজেপির হাওছাড়া হওয়া মাটিতেই সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাও আবার নির্বাচনের প্রায় ১ বছর আগে। কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা তো আছেই। তার পাশাপাশি বাংলার ভোটারদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া, ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেবো সুচাগ্র মেদিনী’

বিজেপি সূত্রের খবর, মোদীর সভায় স্পষ্ট বার্তা থাকবে, কোথাও কেনও সেটিং নেই। দুর্নীতি করলে জেলে যেতে হবে৷ সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা, বাংলায় শিল্পের হাল ফেরানোয় হবে বিজেপির লক্ষ্য। মোদীর দু্র্গাপুরের সভায়, শিল্পনগরী দুর্গাপুরের পুনরুদ্ধার। শিল্পের পরিকাঠামো উন্নয়ন। পরিযায়ী শ্রমিক কমিয়ে, বাংলার ছেলেমেয়েদের বাংলায় কাজ। দুর্নীতি মুক্ত বাংলা। নারী নির্যাতন কড়া হাতে দমন করে বাংলার মা-বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রান্তিক মানুষের অধিকার ফেরানোর মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।