কাজ আছে। কিন্তু বেতন বা পারিশ্রমিক নেই। নিয়মিত কাজ করেও হতে টাকা পান না। পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। এমনই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার সমীক্ষায়।
কেমন চলছে অর্থনীতি? কাজের বাজার কেমন? এই ধরনের নানা তথ্য পেতে সমীক্ষা চালায় কেন্দ্রের পরিসংখ্যান মন্ত্রক। যার নাম – পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে বা পিএলএফএস (PLFS Survey Report)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের সেই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। এতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পশ্চিমবঙ্গে গত দুই বছরে বেড়ে গিয়েছে বিনা বেতনে কাজ করা কর্মীর সংখ্যা। বিনা বেতনে কাজ আবার কী? কেনই বা করেন? পরিসংখ্যান মন্ত্রক জানাচ্ছে, যারা পারিবারিক ব্যবসা বা কারখানায় কাজ করেন, বেতন নেন না- তাঁদের এই ধরনের কর্মীর তালিকায় ধরা হয়।
বিভিন্ন পেশায় এই ধরনের কর্মী রয়েছেন। কেউ পারিবারিক জমিতে চাষ করেন। কেউ দোকানে বসেন। কেউ আবার কারখানা কিংবা অন্য কারবার সামলান। তাঁরা হাতে বেতন নেন না। পারিবারিক আয়ই তাঁদের আয়। সরকারি হিসেবে তাঁরা কেউ বেকার নন। কিন্তু তাঁদের কোনও উপার্জন হচ্ছে না। তবে ব্যবসায় বাইরের কর্মী নিয়োগ করতে হচ্ছে না। তাঁদের বেতনের টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলায় এই ধরনের কর্মীর হার ১১.৪ শতাংশ। ২০২১-২২ সালে এই হার ছিল ৯.২ শতাংশ। অর্থাৎ ২ বছরে বাংলায় বিনা বেতনের কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ২.৪ শতাংশ।
সর্বভারতীয় স্তরেও এই হার বেড়েছে। ২০২১-২২ সালে দেশে বিনা বেতনের কর্মীর সংখ্যা ছিল ১৬.৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৮.৮ শতাংশ। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ।