সাত সকালে মাথা গরম হয়ে গেল যাত্রীদের। টিকিট কেটে ভোরে হাওড়ায় (Howrah) আসার পর সবাই দেখলেন বন্দে ভারত আসেনি। এর পরেই ক্ষোভ ছড়াল। জানা গিয়েছে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল।
শুক্রবার সকালে হাওড়া এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যান্ত্রিক ত্রুটি ঘিরে বিঘ্ন। বন্দে ভারতের যাত্রীদের নিয়ে রওনা দিল যুবা এক্সপ্রেস। স্পেশাল ট্রেন হওয়ার সত্ত্বেও বন্দে ভারতে সঠিক পরিষেবা না পাওয়ায় হাওড়া স্টেশনে যাত্রীরা শুরু করে তীব্র বিক্ষোভ। বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও কেনও মিলবে না সঠিক পরিষেবা। কেনও দেওয়া হবে নিম্নমানের কোচ। প্রশ্ন সকল যাত্রীদের।
ঘটনাস্থল থেকে এক বিক্ষোভকারী যাত্রী জানিয়েছেন, বন্দে ভারত ক্যান্সেল করে আমাদের এমন একটি ট্রেন দিয়েছে যেখানে জল নেই। বাথরুমের অবস্থা অতি জঘন্য। এসি চলছে না, সিটগুলো বসার মত নয়। ওই ভিড় থেকে এক ব্যক্তি বলে উঠেছে, “মোদি সরকার চাঁদে চন্দ্রযান পাঠাচ্ছে, কিন্তু দেশের অবস্থা এত শোচনীয় সেই দিকে কোনও নজর কেনও নেই”। বাংলায় ট্রেন বিভ্রাটের ঘটনাতেও কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করছেন যাত্রীরা। অভিযোগ, ৫২৭ টাকা সম্পূর্ণ নিয়ে নিয়েছে অথচ সঠিক পরিষেবা দিচ্ছে না রেল।
আজ সকালে বন্ধে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার কথা ছিল। বহু যাত্রীরা বেশি টাকা দিয়ে এই ট্রেনের টিকিট কাটে। এরপর জানা যায় ট্রেনের গিয়ার ফাংশান ঠিক ভাবে হচ্ছে না। এই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বন্দেভারত এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়।
এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এই আজ রাজ্যপালের মালদা যাওয়ার কথা ছিল যেখানে মিজোরামের ব্রিজ ভেঙে বহু শ্রমিক মারা গিয়েছেন। তাদের পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। সেই মত সকালে রাজ্যপাল হাওড়া স্টেশনে এসে উপস্থিত হন। যেহেতু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে তাই রেল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি যুবা এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনে নিয়ে আসে। ট্রেনের পরিষেবা ভালো না হয় যাত্রীরা বিক্ষোভ করে। তবে এক ঘন্টা পরে যুবা এক্সপ্রেসে করেই যাত্রীদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করা হয়।
তবে এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন, যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে কোনও রকমের গাফিলতি করা হবে না। এছাড়াও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন বন্দেভারতের ঘন্টায় যে ১৩০ কিমি গতি সেই গতিতেই চালানো হবে যুবা এক্সপ্রেস। এছাড়াও বন্দে ভারতে যে খাবার যাত্রীদের পরিবেশন করা হয় সেই খাবারই এই ট্রেনেও দেওয়া হবে।