Panchayat Election: একের পর এক ধাক্কা খাওয়ার পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা রিকুইজিশন পাঠালেন ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে। এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের জন্য। তারপর থেকেই হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্যপালের কাছে একাধিকবার ভৎসনার শিকার হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
পরপর আদালতের ধাক্কা খাওয়ার পর এবার ২২ কোম্পানি বদলে গেল ৮২২ কোম্পানিতে৷ প্রতি কোম্পানিতে গড়ে ৮০ জন করে হলে, মোট প্রায় ৭০ হাজার আধাসেনা চাওয়া হল। গতকাল আদালত থেকে বলেছিল যে ২০১৩ সাল থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এবার ভোট করতে হবে। ২০১৩ সালে ৮২০ কোম্পানি দিয়ে ভোট হয়েছিল আর এবার আর দুই কোম্পানি বাড়িয়ে ৮২২ দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোট করাতে চায়। যদিও প্রশ্ন উঠছে যে এই ৮২২ কোম্পানি দিয়ে কি শান্তিপূর্ণ ভোট করা সম্ভব? এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ৮২২ কোম্পানি পর্যাপ্ত নয়, তাই আগামীকাল ফের তিনি কোর্টে যাচ্ছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন , ৮২২ কোম্পানি দিয়ে কিছু হবে না। ২০১৩ সালে যে বুথ ছিল সেই বুথের সংখ্যা কয়েক হাজার বেড়ে এখন ৬১ হাজার হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রথমে তিন দফা ভোট ছিল পরে তা বেড়ে হয়েছিল পাঁচ দফা। আর এবারে এক দফায় ভোট করছে”।
তিনি আরো জানিয়েছেন, “সেক্টর অফিস সেন্ট্রাল ফোর্সের দ্বারা মনিটরিং হবে। কুইক রেস্পন্স টিমও সেন্ট্রাল ফোর্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করতে হবে। প্রতিটি থানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সেন্ট্রাল ফোর্স এর উপস্থিতি থাকবে। যাতে কোনোরকম ভোট লুট মারামারির ঘটনা না ঘটে। একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলের যেন সংঘাত না ঘটে”।