অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যত কী হবে? মঙ্গলবার দুবরাজপুর মামলায় জামিনের পরেই এই প্রশ্ন ক্রমাগত বীরভূমে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নলহাটির সভা থেকে শাসক দলকে হুশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)৷ এদিন তিনি বলেন, বড় ডাকাত মাছ বিক্রেতা তো যাবেই তিহারে। তার পিছন পিছন ভাই-ভাইপো এখানেই যাবে। ৩,৯২৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীর চাকরি গেছে। ওখানেই থাকবে। এই বিভাসভবাবুকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না কেন?
একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সব বড় চোরকে তিহারে পাঠানোর ব্যবস্থা করব। যাঁরা গাঁজার কেস দিয়ে জেলে পুরতেন, আজ কেষ্টবাবুর অবস্থা দেখেছেন। কোথাও ঢাকের আওয়াজ শুনতে পেলাম না। কোথাও উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে দেখলাম না। কই আজ তো কেউ আমায় গুড়-বাতাসা দিল না।
প্রসঙ্গত, কখনও বিরোধীদের গুড় বাতাসা আবার কখনও চড়াম চড়ামের দাওয়াই দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ তাঁকে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু করেছে ইডি। তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এটাই বিরোধীদের জন্য বড় ইস্যু হতে পারে৷ সেই সুযোগ মোটেই হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি৷ তাই অনুব্রতর ভাষাতেই তাঁকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা শুভেন্দুর।
এদিনেও শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, গত ১১ বছর ধরে যে সমস্ত কার্যকলাপ হয়েছে, তার ফল ভুগতে হবে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, খুব শীঘ্রই বড় চোর ধরা পড়বে৷ তবে কী শাসক দলের আরও নেতার নাম জালে জড়াবে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।