ভালোবেসে বিয়ের এক বছরের মাথায় বধূর মৃত্যু, উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া

উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার দলুয়া এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। বিয়ের মাত্র এক বছরের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে…

one-year-marriage-wife-death-chopra-north-dinajpur

উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার দলুয়া এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। বিয়ের মাত্র এক বছরের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এক তরুণীর। মৃতার নাম মীনা বর্মণ। তাঁর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির মধ্যে তীব্র অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে মীনা বর্মণ বাড়ির অমত উপেক্ষা করে ধীরেশ সিংহ নামে এক যুবককে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই মীনার সঙ্গে বাপের বাড়ির যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার সকালে মীনার মৃত্যুর খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান মা।

   

মীনার মায়ের অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পর থেকে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হত না। আজ সকালে ফোন করে জানানো হয়, মীনা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমরা গিয়ে দেখি, মেয়ের গলায় ফাঁসের দাগ নেই। ওকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পরে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’’ তিনি জামাই ধীরেশের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলেন।

অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মীনা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার স্বামী ধীরেশ সিংহকে আটক করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মীনার দেহ উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

মীনার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় দলুয়া এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।

মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে আত্মহত্যার দাবি নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং পুলিশের তদন্তই এই মর্মান্তিক ঘটনার সত্যতা উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই ঘটনায় এলাকাবাসীও মর্মাহত। অনেকেই মৃতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পুলিশের তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়ায় কী উঠে আসে, তা এখন দেখার অপেক্ষা।