Nursing Student: পরিবারের দাবি মেনে শনিবার সকালে নন্দীগ্রামে মৃত নার্স দীপালি জানার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী এইমসে। সিঙ্গুরের নার্সিং হোমে মৃত্যু হয় নন্দীগ্রামের এই নার্সের। নার্সের মৃত্যু ঘিরে বর্তমানে বিতর্ক তুঙ্গে। সকাল ১০ টায় শুরু হয় ময়নাতদন্ত। ৩ ঘণ্টা ধরে দুপুর ১টা পর্যন্ত হয় ময়নাতদন্ত। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয় এই প্রক্রিয়া।
ট্রেনিংয়ে যোগ দেন ওই নার্স। যোগদানের কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবার চেয়েছিলেন এইমস বা কমান্ড হাসপাতালে মেয়ের ময়নাতদন্ত। তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে, সেই মতো আজ সকালে কলকাতা থেকে গ্রিন করিডর করে কল্যাণী এইমসে নিয়ে যাওয়া হয় নার্সের দেহ।
গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের একটি নার্সিং হোম থেকে দীপালির দেহ উদ্ধার হলে আত্মহত্যার তত্ত্ব খারিজ করে দেয় তাঁর পরিবার (Nursing Student)। এরপর শুক্রবার থেকে শুরু হয় ময়নাতদন্ত নিয়ে জটিলতা। হুগলি থেকে কলকাতায় দীপালির দেহ আনা হয় শুক্রবার। এরপর মৃতদেহের গাড়ির সামনে শুরু হয় দুই রাজনৈতিক দলের হাতাহাতি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে নার্সিং হোমের মালিক ও দীপালির প্রেমিক।
শুক্রবার মৃতদেহ নিয়ে প্রায় টানাটানি শুরু হয় বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে। তারপর দেহ রাখা হয় কলকাতা মেডিক্যালে। দীপালির পরিবার সাফ বলেন যে এইমস বা কমান্ড হাসপাতাল ছাড়া কোথাও ময়নাতদন্ত করতে দেবে না। পরিবারের দাবি মেনে গ্রিন করেডর করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী এইমসে।
পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে ময়নাতদন্তের সময় থাকতে হবে একজন ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও ভিডিওগ্রাফি করার দাবিও জানায় পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে। দীপালির ভাই অতনু মণ্ডল বলেন, “সরকারি পরিকাঠামোয় ভরসা করেছিলাম। কিন্তু কলকাতায় গিয়ে যা হয়েছে, যেভাবে সিঙ্গুর থেকে দেহ টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা মেডিক্যালে, তারপর আর ভরসা রাখতে পারিনি।”