কলকাতা, ১৯ সেপ্টেম্বর: বর্ষাকালের শেষ প্রান্তে পৌঁছে বাংলার আকাশ আজও মেঘাচ্ছন্ন থাকবে (Weather Update)। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস অনুসারে, উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে আজ দমকা ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রপাত এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহাওয়া পরিস্থিতি কৃষক, যাত্রী এবং সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে এটি পরিবেশের জন্য উপকারী বলেও বিবেচিত হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, বঙ্গোপসাগরের উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু এবং একটি নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলার দুই অংশেই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলে, যেমন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়, আজ দিনের তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
কিন্তু আকাশ মেঘলা থাকায় দশমিক আর্দ্রতা ৮৫ শতাংশেরও বেশি হবে। সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে, যার সঙ্গে বজ্রপাত এবং মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় আজকের বৃষ্টির পরিমাণ ৫০-৭০ মিলিমিটার হতে পারে।
দক্ষিণ বঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলোতে, যেমন বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে, আবহাওয়া একই রকম থাকবে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই অঞ্চলে বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে, তাই বাইরে থাকা মানুষদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূর্যোদয় হবে সকাল ৫:৫৫ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত বিকেল ৫:৫০ মিনিটে, কিন্তু মেঘের কারণে রোদের দেখা মিলবে না। রাতের তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে, যা গরম এবং আর্দ্রতাময় পরিবেশ তৈরি করবে।
উত্তর বঙ্গের কথা বললে, পরিস্থিতি আরও তীব্র। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং দার্জিলিং জেলায় আজ ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে ৭০-১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে নদী-নালায় জলস্ফীতি এবং পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
দমকা হাওয়ার বেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, যা গাছপালা উড়িয়ে নেওয়ার মতো শক্তিশালী। উত্তর বঙ্গের তাপমাত্রা দক্ষিণের তুলনায় কম, দিনে ২৬-২৮ ডিগ্রি এবং রাতে ২২-২৪ ডিগ্রি থাকবে। দার্জিলিং-এর উচ্চভূমিতে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় দৃশ্যমানতা কমে যাবে, যা যাত্রীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
হিমন্তর হস্তক্ষেপে আশার আলো দেখছে ৭১ এর শরণার্থীরা
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে, কিন্তু পরশু থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কমতে পারে। দক্ষিণ বঙ্গে রোদের ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যখন উত্তরে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের জন্য জলবায়ু-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আবহাওয়া দফতরের নিয়মিত আপডেট অনুসরণ করে সতর্ক থাকুন, যাতে এই বর্ষার শেষ দিনগুলো নিরাপদে কাটানো যায়।