কলকাতা: শরতের মাঝখানে পৌঁছে পশ্চিমবঙ্গের আকাশ যেন দ্বিধায় দোটানায় পড়েছে। দীপাবলির উত্তেজনা কেটে যাওয়ার পর আজ উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যখন দক্ষিণবঙ্গের সমতল অঞ্চলে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন আকাশের মধ্যে গরমের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) তার সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি নিম্নচাপ এলাকা গঠিত হচ্ছে, যা ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টির ঝুঁকি বাড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে এই বৃষ্টি ধানের শেষ ফসলের জন্য উপকারী হলেও, সমতলের কৃষকরা জলাবদ্ধতার ভয়ে উদ্বিগ্ন।
এই নাইজেরিয়ান তারকার দিকে নজর রয়েছে পঞ্জাব শিবিরের
আইএমডি হলুদ সতর্কতা জারি করে বলেছে, বজ্রপাতের সময় বাইরে না বের হওয়াই ভালো, বিশেষ করে শহুরে এলাকায় যেখানে ট্রাফিক জ্যামের ঝুঁকি বাড়ে।উত্তরবঙ্গের কথা বললে, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাগুলোতে আজ বিচ্ছিন্নভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আইএমডির সাপ্তাহিক পূর্বাভাস অনুসারে, সপ্তাহের দ্বিতীয় অংশে (২৪ থেকে ৩০ অক্টোবর) এই অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা ২৬-৫০ শতাংশ, যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২০-২২ ডিগ্রির মধ্যে ঘুরবে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি বেশি। জলপাইগুড়িতে গতকাল রাত থেকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে, যা আজও চলতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের দিকে চোখ ফেরালে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাগুলোতে আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। আইএমডি বলছে, বিচ্ছিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি বা বজ্রপাত হতে পারে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের কাছাকাছি।
তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩১-৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে একটু বেশি। কলকাতায় আজ সকাল থেকে আংশিক মেঘ, কিন্তু দুপুরে গরম বাড়তে পারে।
আইএমডির কলকাতা অফিস থেকে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে ২৬ অক্টোবর সকাল থেকে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এবং বাতাসের গতি ৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টা হতে পারে। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা: ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে, তাই গভীর সমুদ্রে না যাওয়াই ভালো।


