কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের আকাশ আজও মেঘাচ্ছন্ন, যেন শরতের শেষ স্পর্শে ভিজে উঠছে সবুজ মাটি। সাইক্লোন ‘মন্থা’-র অবশিষ্টাংশ এখনও রাজ্যের উপর ছায়া ফেলেছে, এবং ভারতীয় অবহাওয়া দফতর (আইএমডি) জারি করেছে নতুন সতর্কতা। ৫ নভেম্বর, ২০২৫—আজকের দিনে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, যখন দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাতের আশঙ্কা।
এই আবহাওয়া পরিবর্তন শুধু কৃষকদের ফসলের জন্য উদ্বেগ নয়, বরং শহুরে জীবনযাত্রাকেও প্রভাবিত করছে। কলকাতার রাস্তায় জলাবদ্ধতা, উত্তরের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ভয়—আইএমডির বুলেটিনে এসবেরই উল্লেখ আছে। সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গায় মৃদু বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যা দুপুর-বিকেলে আরও তীব্র হতে পারে।
পাঞ্জাবের যুবশক্তি বনাম বেঙ্গালুরুর অভিজ্ঞতা: কে এগোবে?
আইএমডির সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, উত্তরবঙ্গ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারসহ সুবর্ণরেখা ও তিস্তা অঞ্চলগুলিতে আজ অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যখন সর্বনিম্ন ১৮-২০ ডিগ্রির কাছাকাছি। বজ্রপাতের সাথে বাতাসের গতি ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে, যা গাছপালা উপড়ে ফেলার মতো।
পাহাড়ি রাস্তায় ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়েছে, বিশেষ করে তিস্তা, তর্শা, রাইদাক ও জলধাকা নদীগুলির জলস্তর বাড়ছে। কৃষকরা উদ্বিগ্ন—শস্যক্ষেত্রে জলাবদ্ধতা হলে ফসলের ক্ষতি অনিবার্য। একজন স্থানীয় কৃষক, দার্জিলিং-এর রামেন রায় বলেন, “এত বৃষ্টিতে চা বাগান ভেসে যাবে। আইএমডি যেন আরও সতর্ক করে, আমরা প্রস্তুতি নেব।”
আইএমডি সতর্ক করেছে, এই অঞ্চলে ল্যান্ডস্লাইড এবং লোকালাইজড ফ্লাডিং-এর সম্ভাবনা রয়েছে, তাই অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।দক্ষিণবঙ্গের কথা বললে, কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানসহ গঙ্গা অববাহিকা এলাকায় আজ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রির কাছাকাছি।
আর্দ্রতা ৭৫-৮২ শতাংশ, যা আবহাওয়াকে আরও উষ্ণ করে তুলবে। দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বইছে বাতাস, গতি ৭-৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বিকেলের দিকে বজ্রপাত হলে বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা হতে পারে।


