কলকাতা, ২০ নভেম্বর: শীতের ছোঁয়া এখনও পুরোপুরি নামেনি, (Bengal Weather) কিন্তু বঙ্গের আকাশে আজ মেঘের আড়ালে একটা অদ্ভুত উত্তেজনা। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)-এর সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, উত্তর ও দক্ষিণ বাংলায় আজ দিনভর মেঘলা আবহাওয়া থাকবে, স্থানে স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা ও দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে, যখন উত্তর বাংলার পাহাড়ি ও সমতল অঞ্চলে এটা ২২-২৮ ডিগ্রির ফাঁকে ঘুরবে।
আর্দ্রতার মাত্রা ৭০-৮৫ শতাংশের কাছাকাছি, যা শরীরে একটা আড়ষ্ট ভাব তৈরি করবে। বাতাসের গতি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ১০-১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, কিন্তু বৃষ্টির সঙ্গে এটা কখনো কখনো বাড়তে পারে। আইএমডি-এর কলকাতা অফিস বলছে, “এটা বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাব, যা পরের ৪৮ ঘণ্টায় আরও সক্রিয় হতে পারে।”
বিহার মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার, ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন?
দক্ষিণ বাংলার কথা আসলে, কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এসব জেলায় আজ সকাল থেকে মেঘের ঘনঘটা। সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৫ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা ৪০-৬০ শতাংশ, বিশেষ করে দুপুর-বিকেলের দিকে। শীতের শুরুতে এরকম আবহাওয়া মন ভালো করে না, তবে চা-কফির সঙ্গে মিলে একটা রোমান্টিক ভাব আসে।”
আইএমডি-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বাংলায় কোনো বজ্রপাতের সতর্কতা নেই, কিন্তু নদী-নালার পানি স্তর লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা বিশেষ সতর্ক, কারণ বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ার-ভাটা বাড়তে পারে।উত্তর বাংলার চিত্রও তেমন আলাদা নয়, তবে একটু বেশি অস্থির। মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এই অঞ্চলগুলোতে আজ মেঘলা সকাল থেকে শুরু হয়েছে, এবং বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ৫-১৫ মিলিমিটার।
শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা ২৩-২৭ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে, কিন্তু পাহাড়ি এলাকায় কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম হতে পারে। আইএমডি-এর উত্তরবঙ্গ স্টেশন থেকে জানা গেছে, “নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তরাঞ্চলে বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বিকেলের দিকে। গাড়ি চালকদের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।”
দার্জিলিং-এর চা বাগানের শ্রমিকরা বলছেন, “বৃষ্টি পড়লে কাজ বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু মাটি ভিজে চা পাতা সতেজ হয়। আজকের মেঘ দেখে মনে হচ্ছে, কয়েকদিনের জন্য এই আবহাওয়া চলবে।” উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায়ও হালকা বৃষ্টির খবর এসেছে, যা কৃষকদের জন্য স্বস্তির খবর ধান কাটার সময় জমি নরম হয়ে যাবে।


