কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর: আগামীকাল, ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে (Weather) সতর্ক করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD)। উত্তর বঙ্গের সুবর্ণরেখা নদীর উজানে অবস্থিত জেলাগুলোতে বিশেষ করে বজ্রপাতসহ অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে, যা বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে।
দক্ষিণ বঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও কিছু জায়গায় থান্ডারস্টর্মের সম্ভাবনা আছে। এই পূর্বাভাস বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নিম্নচাপ এলাকার প্রভাবে দেওয়া হয়েছে, যা অসম, সিকিম এবং বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়ে উঠছে।
আইএমডির কলকাতা অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, উত্তর বাংলার জেলাগুলো—যেমন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমান—এ অঞ্চলে বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ (৭-২০ সেমি) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রপাত এবং বাতাসের গতি ৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টা হতে পারে। সুবর্ণরেখা, তিস্তা এবং মহানন্দা নদীতে জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা উত্তর বাংলার কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণ হতে পারে। আইএমডি জানিয়েছে, এই নিম্নচাপ ১২-১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে, ফলে বঙ্গের উত্তরাঞ্চল সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে।
দক্ষিণ বাংলার জেলাগুলোতে—কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ অংশ—আগামীকাল বেশিরভাগ জায়গায় মেঘলা আকাশ থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা, কিন্তু কলকাতা এবং আশেপাশের এলাকায় এক-দুই জায়গায় থান্ডারস্টর্মসহ ভারী বৃষ্টি (৬-১১ সেমি) হতে পারে।
বাতাসের গতি ২০-৩০ কিমি/ঘণ্টা থাকবে এবং আর্দ্রতার মাত্রা ৮০-৯০ শতাংশের কাছাকাছি রাখবে। তাপমাত্রা উত্তর বাংলে সর্বোচ্চ ২৮-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৪-২৬ ডিগ্রি, যখন দক্ষিণ বাংলে সর্বোচ্চ ৩১-৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৫-২৭ ডিগ্রি থাকার সম্ভাবনা। আইএমডি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্কোয়ালি ওয়েদারের কারণে জেলেদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
উত্তর বাংলায় বন্যাপ্রবণ এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ বাংলায় কলকাতার মতো শহরগুলোতে যানজট এবং জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মনসূনের এই শেষভাগে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত বাড়ছে।
গাড়ি ও যন্ত্রাংশ উৎপাদনে ভারত এবং EU-এর যৌথ বিনিয়োগের ডাক
কিন্তু পরের দিনগুলোতে এটি কমতে পারে। জনগণকে বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা বা রেইনকোট নেওয়ার এবং বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আইএমডির ওয়েবসাইটে লাইভ আপডেট দেখা যাবে।