সকাল থেকে নজরে আসছে পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা ও রক্তের বন্যা। ভোটে রক্তাক্ত কোচবিহার। পরপর খুন ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটছে। নির্বাচন কমিশন অসহায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের সামনে ভোট লুঠ চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ভোটের আগে যেভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই মন্ত্রী পরস্পরকে হুমকি দিয়েছিলেন তার ফল রক্তাক্ত পরিস্থিতি। তবে আরও অভিযোগ, ভোটের দিন নিজ নিজ দলীয় সমর্থকদের শান্ত করতে কোনও ভূমিকায় দুই যুযুধানকে দেখা যায়নি।
কোচবিহারে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এবং তৃ়ণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। দুজনের পরস্পর বাকযুদ্ধে বারবার গরম হয়েছে জেলা।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারকালীন সময় একে অপরের দিকে বহুবার বাক্যবান চালিয়েছেন নিশীথ প্রামানিক ও উদয়ন গুহ। অথচ আজ পঞ্চায়েত ভোটের দিনে উত্তপ্ত গোটা বাংলা। প্রাণের বলি বহু মানুষ। যেই কোচবিহার ঘিরে এই দুই শাসক দল ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, সেই কোচবিহার জ্বলছে হিংসার আগুনে। রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছে গোটা জেলা।
কেন নিশীথ নীরব? কেন উদয়ন চুপ? উঠছে প্রশ্ন। লাস পড়েছে। বুথের মধ্যে খুন। ভোট লুঠ। ভোটারদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর হুমকির অভিযোগ সব চলছে অবাধে। পঞ্চায়েত ভোটগ্রহণের সকাল থেকে বেপাত্তা এই দুই বিরোধী পক্ষের নেতারা। ভোটের আগে যারা একে অপরকে একাধিকবার হুমকির সুরে আক্রমণ করেছেন আজ উত্ত্যক্ত কোচবিহারের দৃশ্য নজরে আসার পরেও এই বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি তাদের।
ভোটের আগে থেকে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে কোচবিহার। ভোটের দিন সকাল থেকেই রক্তাক্ত। সংঘর্ষ কবলিত কোচবিহা ঘুরে গেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি ফিরে যাওয়ার পর আরও রাজনৈতিক সংঘর্ষ ছড়ায়। গুলিবিদ্ধ ও নিহতের ঘটনায় উত্তরবঙ্গে কোচবিহার বারবার রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে।
কোচবিহারে রাজনৈতিক সংঘর্ষ চরমে। এই জেলায় শাসক তৃ়নমূল বনাম বিরোধী বিজেপির সংঘর্ষে রক্তাক্ত পরিস্থিতি। দুই শিবিরের দুই মন্ত্রীর পরস্পরের প্রতি হুঁশিয়ারি চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের এলাকা ভেটাগুড়িতে দাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর হুঁশিয়ারি, পায়ে দড়ি বেঁধে ছ্যাচরাতে ছ্যাঁচরাতে নিয়ে যাবে।’ এর পরেই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু কোচবিহারে।
পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে মূল লড়াই কার? রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনা তীব্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটের সাথে এবারের ভোটের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কয়েকটি পকেট এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক দূর্বলতায় ভূগছে।