মুর্শিদাবাদে ধরা পড়েছে একের পর এক অনুপ্রবেশকারী। আবারো তার পুনরাবৃত্তি হল জলঙ্গিতে। বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার হল জলঙ্গি থানার দক্ষিণ ঘোষপাড়া এলাকা থেকে। সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এদিন রাতে শফিকুলকে ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি চালায় জলঙ্গি থানার পুলিশ। অনেকদিন ধরেই এই বাড়িটি পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিল এবং সেই সন্দেহের উপর ভিত্তি করেই শফিকুলের বাড়িতে তল্লাশি চালায়।
তল্লাশি করা কালীন দেলুয়ার হোসেন নামে এক ব্যাক্তির খোঁজ পায় পুলিশ এবং জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা যাই তিনি ভারতীয় নন, একজন বাংলাদেশী। এই শফিকুল এবং দেলুয়ার দুজনে মিলে এই মাদক দ্রব্য পাচার করতো বলেও জানা যাচ্ছে। তল্লাশি করে প্রায় ২৫ কেজি ২২০ গ্রাম মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃত বাংলাদেশী যুবক এবং শফিকুলকে বহরমপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। কিন্তু কি কারণে ওই বাংলাদেশী ব্যাক্তিকে আশ্রয় দিয়েছিল শফিকুল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এর পিছনে কোনো বড় চক্র আছে কিনা।
মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়েই চলেছে, যা স্থানীয় প্রশাসন ও নাগরিকদের মধ্যে নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে অবৈধভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবেশের প্রবণতা বাড়ছে, যার ফলে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন জানিয়েছে, তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারি বৃদ্ধি করেছে, তবে এই ধরনের অনুপ্রবেশ রোধ করা এখনও বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) এর তৎপরতা বাড়ানো হলেও, অপরাধীরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকদের সনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন সংস্থা একত্রে কাজ করছে। পুলিশ বাহিনী এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মিলে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে একাধিকবার তল্লাশি অভিযান চললেও, সীমান্তবর্তী গ্রামে বসবাসরত অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।