সিতাই উপ নির্বাচনে বিজেপির জামানত জব্দ হবে বললেন তৃণমূলের প্রার্থী

সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে চলা উপ নির্বাচনে (Sitai by-election) বিজেপির জামানত জব্দ হবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সংগীতা রায়। আজ, শুক্রবার সকালে…

TMC Candidate Sangeeta Roy

সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে চলা উপ নির্বাচনে (Sitai by-election) বিজেপির জামানত জব্দ হবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সংগীতা রায়। আজ, শুক্রবার সকালে দিনহাটাতে মহকুমা শাসকের দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন। সংগীতা রায়ের সঙ্গে ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক, প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন, জেলা পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ ঘোষ এবং জেলার অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা।

সকালে সশস্ত্র পুলিশ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সংগীতা রায় সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল করেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, “এবারের নির্বাচনে সিতাইয়ের মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সুতরাং, তাদের জামানতও যাবে।” এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে এসেছি, এবং সিতাইয়ের উন্নয়নে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

   

এদিকে, বিজেপি প্রার্থী দীপক কুমার রায়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীশিথ প্রামাণিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “ডি এম ও এস পি তৃণমূলের দলদাস হয়ে গেছে, তাই আমাদের ক্ষেত্রে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে।” নিশিথের এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ। তিনি বলেন, “নিশীথ প্রামাণিকের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। প্রশাসনিক কর্তারা তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছেন এবং আমাদের কথাও শুনছেন না।”

এছাড়া, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সংগীতা রায় জানান, “আমাদের সরকারের সাফল্যগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে এবং উন্নয়নের কাজগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।” তিনি সিতাইয়ের জনগণের কাছে আবেদন করেন, যাতে তারা তৃণমূলকে সমর্থন করেন এবং বিজেপির মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হন।
এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তৃণমূলের নেতারা বলেন, “সিতাইয়ের মানুষ উন্নয়ন চান। তারা জানেন, গত দশ বছরে আমাদের সরকারের মাধ্যমে কী কী উন্নয়ন হয়েছে।” তারা দাবি করেন, বিজেপির নেতারা নির্বাচনী দফতরে কিছু ভালো কাজ করেননি, বরং অশান্তি এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।

এদিকে, নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে সারা জুড়ে। প্রশাসন, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটারদের স্বার্থে সমস্ত ধরনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় স্থানীয়রা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনা চান এবং কোনো অশান্তি চান না।
তৃণমূলের এই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সিতাইয়ের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই অভিযান রাজনৈতিক মহলে অনেক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। আগামীদিনে সিতাইয়ের উপ নির্বাচনের ফলাফল রাজ্য রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়া, নির্বাচনে যারা ভোট দিতে যাবেন, তাদের ভোটার পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি সাথে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রশাসন এই নির্বাচনে স্বচ্ছ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট সম্পন্ন করার জন্য বদ্ধপরিকর।