অয়ন দে, কোচবিহার, ৭ অক্টোবর: উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে রাজনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন। মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে লড়াই করা রাহুল লোহার এবার যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইক তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
২০২৪ সালের মাদারিহাট উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল লোহার। তবে তিনি তৃণমূল প্রার্থী জয় প্রকাশ টোপ্পোর কাছে পরাজিত হন। সেই সময় বিজেপির ভরসার প্রার্থী হলেও, এবার দলবদল করে শাসকদল তৃণমূলে যোগ দেওয়া উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইক এদিন বলেন,
“বিজেপি চা বলয়ের জন্য কিছুই করেনি। অথচ এখান থেকে সাংসদ-বিধায়ক অনেকেই বিজেপির। রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছে, কিন্তু বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গারা কিছুই করেননি। শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নানান দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বিজেপির নেতারা।”
তিনি আরও দাবি করেন, এসব কারণেই হতাশ হয়ে রাহুল লোহার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
চা বলয়ের ভোট-রাজনীতিতে প্রভাব
চা শ্রমিকদের উপর নির্ভর করে উত্তরবঙ্গের একাধিক বিধানসভা আসন। ফলে এই শ্রমিক ভোটব্যাঙ্ককে ঘিরে সর্বদাই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে কড়া টক্কর হয়। রাহুল লোহার মতো একজন প্রাক্তন প্রার্থীর দলবদল তৃণমূলকে মাঠ পর্যায়ে শক্তি জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহলের মত।
অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরে এই ঘটনাকে “ব্যক্তিগত উচ্চাশার ফল” বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তবে স্বীকার করছেন, সংগঠনের ভেতরে অসন্তোষ বাড়ছে।
রাজনৈতিক বার্তা
রাহুল লোহার দলবদল আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে চা বলয়ে তৃণমূলের জন্য বাড়তি প্রাপ্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে “প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ” ও “চা শ্রমিকদের উন্নয়নে ব্যর্থতা”র অভিযোগ উঠছে বারবার।