দলবদলের হাওয়া, চা বাগানের ৩০ পরিবার বিজেপিতে যোগ

মালবাজার: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এখনও বেশ কিছুদিন দূরে। কিন্তু তার আগেই উত্তপ্ত হচ্ছে মালবাজারের রাজনৈতিক আবহ। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দলবদলের হাওয়া ক্রমশই জোরদার হচ্ছে।…

দলবদলের হাওয়া, চা বাগানের ৩০ পরিবার বিজেপিতে যোগ

মালবাজার: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এখনও বেশ কিছুদিন দূরে। কিন্তু তার আগেই উত্তপ্ত হচ্ছে মালবাজারের রাজনৈতিক আবহ। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দলবদলের হাওয়া ক্রমশই জোরদার হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালবাজার ব্লকের বেতগুড়ি চা বাগানের নামজি লাইনে আয়োজিত এক যোগদান সভায় সিপিআইএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকা মোট ৩০টি পরিবার বিজেপিতে (BJP) যোগ দিল।

এই যোগদান কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন BTWU (Bharatiya Tea Workers Union)-এর মালবাজার ব্লক সভাপতি অনিল উরাঁও। তাঁর হাত থেকে বিজেপির (BJP) পতাকা গ্রহণ করে নতুন সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন। পতাকা গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সঞ্জীব উরাঁও।

   

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির উত্তর মণ্ডল সহ-সভাপতি সুমন মিঞ্জ, বুথ সভাপতি রানথু উরাঁও, বিজয় তির্কি, অমর লাকড়া সহ একাধিক স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা ও কর্মী। সভায় বিজেপি নেতারা নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপি এখন সাধারণ মানুষের বিকল্প ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বেতগুড়ি চা বাগান এলাকায় শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে অসন্তোষ ছিল। মূলত কর্মসংস্থান, ন্যায্য মজুরি এবং সামাজিক উন্নয়ন সংক্রান্ত দাবি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। বহুদিন ধরেই শ্রমিকদের অভিযোগ ছিল, সিপিআইএম বা তৃণমূল— কোনও দলই তাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রতি ভরসা রেখে তারা যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অনিল উরাঁও বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যে সুশাসন এবং শ্রমিকদের স্বার্থে লড়াই করছি। যারা আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তারা আমাদের এই আন্দোলনের শক্তি বাড়াবেন।’’ বিজেপি নেতা সুমন মিঞ্জ বলেন, ‘‘এই যোগদান আসন্ন নির্বাচনের আগেই প্রমাণ করছে, মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। আরও বহু পরিবার আগামী দিনে বিজেপিতে আসবে।’’

Advertisements

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই যোগদান মালবাজারের রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। নির্বাচনের আগে এমন দলবদল বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বাড়াবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

যোগদানকারী পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতির আশায় থেকেছেন। কিন্তু সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় তারা বিজেপির উপর ভরসা করছেন।

বেতগুড়ি চা বাগানের এই রাজনৈতিক রদবদল মালবাজারের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় রকমের রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি করতে পারে। আগামী দিনে আরও কত পরিবার বিজেপিতে যোগ দেয়, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।