ফের বড়সড় মাদক পাচার চক্রের হদিস পেল পুলিশ। নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন কুরলী কোট থানা এলাকার ৩২৭ ই জাতীয় সড়কে পুলিশের নাকা চেকিং চলাকালীন কর্ণাটকগামী এক ট্রাক থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ গাঁজা (Ganja Smuggling)। ভূষির বস্তার তলায় লুকিয়ে রাখা ছিল ৭৭ কেজি গাঁজা, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৩৮ লক্ষ টাকারও বেশি।
ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা কর্ণাটকের হাসান জেলার সোমনাহালির বাসিন্দা ভেকটা রামু (৩০), অসমের সুনিতপুর জেলার লালবাতি থানার বাসিন্দা প্রদীপ কেবট (৩২) এবং কোচবিহার জেলার শীতলকুচির কৃত্তিবাস সরকার (৪০)। পুলিশের অনুমান, এই তিনজনই একটি আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের সদস্য।
বিহার বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে গোটা রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে জাতীয় সড়কে চলছিল নিয়মিত নাকা চেকিং। সেই সময় কর্ণাটক নম্বরের ট্রাকটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় পুলিশ কর্মীদের। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি, আর তাতেই মেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য ট্রাকের ভিতর ভূষির বস্তার নিচে প্যাকেটজাত করে রাখা হয়েছিল গাঁজা।
ঘটনার পর পুলিশ ট্রাকটিকে বাজেয়াপ্ত করে এবং ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজা অসম থেকে কর্ণাটকের দিকে পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশের অনুমান, এই রুট ব্যবহার করে একাধিকবার মাদক পরিবহন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সাগর কুমার জানিয়েছেন, “আমাদের টিম যথাসময়ে সন্দেহভাজন ট্রাকটি আটক করে তল্লাশি চালায়। বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। আমরা এই পাচারচক্রের মূল সূত্রধরদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “এটি শুধু একটি স্থানীয় ঘটনা নয়, বরং আন্তঃরাজ্য মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত একটি বড় নেটওয়ার্ক। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে অপরিচিত গাড়ি ও ট্রাকের আনাগোনা বেড়েছে। পুলিশ মনে করছে, এই অঞ্চলটিকে মাদক পাচারের করিডর হিসেবে ব্যবহার করছে চক্রটি। তাই আগামী দিনে এই রুটে আরও নজরদারি বাড়ানো হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং মাদক পাচার রুখতে রাজ্যজুড়ে নাকা চেকিং আরও শক্ত করা হবে। পুলিশের দাবি, গাঁজা পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানে এটাই এক বড় সাফল্য, যা ভবিষ্যতের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দেবে।
