উত্তরবঙ্গের বন্যায় বাতিল ট্রেন, পর্যটকদের নিরাপদ ফেরানোর পদক্ষেপ রাজ্যের

সিকিম: উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে টানা ভারী বর্ষণের (North Bengal Floods) কারণে একাধিক এলাকা বিপর্যস্ত হয়েছে। মিরিক এবং সুখিয়ায় ধসে এখন পর্যন্ত এক শিশুসহ ১৭ জনের…

সিকিম: উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে টানা ভারী বর্ষণের (North Bengal Floods) কারণে একাধিক এলাকা বিপর্যস্ত হয়েছে। মিরিক এবং সুখিয়ায় ধসে এখন পর্যন্ত এক শিশুসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে, তবে ধস ও বন্যার কারণে স্থানীয়দের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।

Advertisements

এই পরিস্থিতির মধ্যে, রাজ্য সরকার এবং উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগম পর্যটক ও যাত্রীদের নিরাপদে ফেরানোর জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল শিলিগুড়ি রওনা দেবেন এবং নিজেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ত্রাণ ও সহায়তা নিশ্চিত করবেন।

   

উত্তরবঙ্গ পরিবহণ রাজ্য পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছয়টি বাস প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব বাসে পর্যাপ্ত খাদ্য, পানি এবং জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী রাখা হয়েছে।

ট্রেন সার্ভিসেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পূর্বাঞ্চল রেলের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল থেকে শিলিগুড়ি-ধুবড়ি ডেমু, এনজেপি-আলিপুরদুয়ার পর্যটক স্পেশ্যাল এবং শিলিগুড়ি-বামনহাট এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। তবে কিছু ট্রেন সীমিত স্টেশনে চলবে, যেমন বিন্নাগুড়ি এবং গুলমার।

শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ার এক্সপ্রেস এবং সিকিম-মহানন্দা এক্সপ্রেসের মতো কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। শিয়ালদহ থেকে আলিপুরদুয়ার-গামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস এবং আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে দিল্লিগামী মহানন্দা এক্সপ্রেসকে নিউ কোচবিহার হয়ে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কামাখ্যা-ডঃ আম্বেদকর নগর সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসও ঘুরপথে চালানো হবে।

উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প এবং স্থানীয় অর্থনীতির ওপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ছে। হোটেল ও লজগুলো পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার সমন্বিতভাবে উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ বিতরণ চালাচ্ছে।

আবহাওয়া দফতর আরও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। তাই পর্যটক এবং স্থানীয়দেরকে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং ও মিরিকের পাহাড়ি এলাকায় সীমিত চলাচল করতে বলা হয়েছে। সড়ক ও রেল যোগাযোগে প্রভাবিত এলাকা নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে।

রাজ্য পরিবহণ দফতর এবং উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের উদ্যোগ পর্যটক ও যাত্রীদের নিরাপদে কলকাতা ও অন্যান্য নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে বন্যার প্রভাব কমানো সম্ভব হবে।