কলকাতা: শরতের শেষ প্রান্তে পা রেখে বাংলার আকাশে আজ নতুন করে মেঘের ঘনঘটা। বঙ্গোপসাগরে গড়ে ওঠা একটি গভীর চাপের কেন্দ্র, যা ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হচ্ছে, রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ব্যাপক বৃষ্টির খবর নিয়ে এসেছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
যার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বীরভূমে এক বা দুই জায়গায় ভারী বর্ষণ হতে পারে। উত্তরবঙ্গে আজ হালকা বৃষ্টির পরিস্থিতি থাকলেও, ৩০-৩১ অক্টোবর দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পঞ্জাবের এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর কথা জানিয়ে দিল শ্রীনিধি
এই আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে রাজ্যের জনজীবন কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে, বিশেষ করে কৃষক এবং মৎস্যজীবীদের জন্য।আইএমডির সর্বশেষ সাপ্তাহিক পূর্বাভাস অনুসারে, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২৬ অক্টোবর সকালে গঠিত গভীর চাপের কেন্দ্রটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৮ অক্টোবর সকাল নাগাদ একটি গুরুতর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
এর ফলে সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে, যা আরও বাড়তে ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে। এই ঘূর্ণিঝড়টি আন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ২৮ অক্টোবর রাতে আঘাত হানবে, কিন্তু এর প্রভাব বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলোতে পড়বে। দক্ষিণবঙ্গে আজ থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে, যা সপ্তাহের শেষের দিকে আরও তীব্রতর হতে পারে।
তাপমাত্রার কথা বললে, আজ উভয় অঞ্চলেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০-২২ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরবে, কিন্তু বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া কিছুটা শীতল মনে হবে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আজকের আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে শান্ত।
জলপাইগুড়ি, কোচবিহার বা দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টি বা বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে, কিন্তু তীব্রতা কম। আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, এবং বাতাসের গতি ১০-১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে, সপ্তাহের শেষভাগে এই অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, যা ধানের শেষ ফসলের জন্য উপকারী হলেও জলাবদ্ধতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
আইএমডির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “উত্তরবঙ্গে সপ্তাহের প্রথমার্ধে (২৪-২৮ অক্টোবর) বিচ্ছিন্ন হালকা বৃষ্টি, কিন্তু ২৯-৩০ অক্টোবর ফোকাসড হয়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে।” এই পরিবর্তনের পিছনে বঙ্গোপসাগরের উত্তপ্ত জল এবং উপরের বায়ুমণ্ডলে চক্রাকার বায়ু প্রবাহের ভূমিকা রয়েছে।


