Jalpaiguri: বান্ধবীর বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়ে বান্ধবীর বাবার লালসার শিকার ১৪ বছরের এক কিশোরী। দেড় মাস আগের ঘটনা হলেও কিশোরীকে ভয় দেখানোয় সে মুখ খোলেনি। কিন্তু দেড় মাস পর কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তারপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর পরিবারের চাপে সমস্ত খুলে জানায়। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বছর ৫০-এর ওই ব্যক্তিকে।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবার ঘটনা। দেড় মাস আগে ঘটনাটি ঘটলেও ভয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানাতে পারেনি ওই কিশোরী। জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী বান্ধবীর বাড়িতে নিয়মিত টিভি দেখতে যেত মেয়েটি। অভিযোগ, একদিন রাতে টিভি দেখে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দেয় ওই ব্যক্তি। তাতে রাজি না হওয়ায় কিশোরীর মুখ চেপে পাশে একটি গাছ তলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত।
এমনকি, ঘটনাটি কাউকে জানালে কিশোরী ও তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। ভয়ে বিষয়টি পরিবারের কাউকে জানাতে পারেনি মেয়েটি। কদিন ধরেই শারীরিক বদল দেখে মায়ের সন্দেহ হয়। পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা। এরপরেই বাড়ির লোকেদের সব কথা খুলে বলে নির্যাতিতা কিশোরী। মেয়েটিকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠায় পুলিশ। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার।