উপনির্বাচনের আগে মাদারিহাটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি

আগামী ১৩ নভেম্বর মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচন (Madarihat By-Election)অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য মাদারিহাটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়…

Central Forces Deployed at Polling Stations for Kanthi Cooperative Elections

short-samachar

আগামী ১৩ নভেম্বর মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচন (Madarihat By-Election)অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য মাদারিহাটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভোটারদের আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জওয়ানরা এলাকায় রুট মার্চ করছে। ইতিমধ্যেই ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বীরপাড়া ও মাদারিহাট থানা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে, যেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

   

সোমবার মাদারিহাট বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় টহলদারির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। সি এ পি এফ (কেন্দ্রীয় বাহিনী) জওয়ানরা লঙ্কাপাড়া বাজার, পাঁচ নম্বর লাইনসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের ভোটদানে উৎসাহিত করেন। একাধিক এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে কথোপকথনও করেন।

জনগণের আস্থা বাড়াতে টহলদারি
সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি এবং ভোট প্রক্রিয়ার সময় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই রুট মার্চের আয়োজন করা হয়েছে। বীরপাড়া থানার মাকড়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি বলাই সরকারের নেতৃত্বে অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও রুটমার্চে অংশ নেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের উদ্বেগ ও প্রশ্নের সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। একইসঙ্গে ভোটের দিন যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে, সেদিকেও নজর রাখা হয়।

জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, এই রুট মার্চ এবং অন্যান্য নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক কাটানো এবং তাঁদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করা। এছাড়া, নির্বাচনী নিয়মবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নজরদারি থাকবে।

নিরাপত্তার জন্য কড়া ব্যবস্থা
এবারের উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতির মাধ্যমে ভোটাররা যেন নিশ্চিন্তে ও নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটদান করতে পারেন, তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলাকার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়মিত টহল চলবে, যা ভোটারদের ভোট দিতে আরো বেশি উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মোট কথা, আসন্ন মাদারিহাট উপনির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন একযোগে কাজ করছে।