কলকাতা: শরৎকালের মাঝখানে বাংলার আকাশ আজকের দিনটাকে কিছুটা অপ্রত্যাশিত করে তুলেছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)-র সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, উত্তর বাংলায় এবং দক্ষিণ বাংলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সপ্তাহের প্রথম অংশে (১০ থেকে ১৬ অক্টোবর) উত্তর বাংলায় বিচ্ছিন্নভাবে এমন আবহাওয়া দেখা দিতে পারে, যখন দক্ষিণ বাংলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি।
আইএমডির কলকাতা আবহাওয়া কেন্দ্রের একাধিক বুলেটিনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, যা পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর কম চাপের জন্য সৃষ্ট অস্থিরতার সঙ্গে যুক্ত। সাধারণত শরতের এই সময়ে আকাশ পরিষ্কার থাকার কথা, কিন্তু এবার বঙ্গোপসাগরের অবশিষ্ট মনসুনের প্রভাব এখনও লেগে আছে, যা আজকের দিনটাকে কিছুটা ভিজে করে তুলবে।
উত্তর বাংলার কথা বললে, আইএমডির সর্বশেষ পূর্বাভাসে (১৫ অক্টোবরের বুলেটিন) বলা হয়েছে যে, আজ দুপুর ১টা থেকে কালকের সকাল ৮টা ৩০ পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি এবং কোচবিহারে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২২-২৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে বলে অনুমান। আর্দ্রতার মাত্রা ৭০-৮০ শতাংশের কাছাকাছি, যা বাইরে থাকা অসুবিধাজনক করে তুলতে পারে।
বাতাসের গতি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ১০-১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে, কোনো ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা নেই। চা বাগান এবং পাহাড়ি এলাকায় এই বৃষ্টি ফসলের জন্য উপকারী হলেও, স্থানীয়রা রাস্তাঘাটের অবস্থা নিয়ে সতর্ক থাকুন বলে আইএমডি পরামর্শ দিয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তর বাংলায় ভারী বৃষ্টির কারণে কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল, কিন্তু আজকের পূর্বাভাসে তা নিয়ন্ত্রণে থাকার সম্ভাবনা।
দক্ষিণ বাংলায় পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। কলকাতা, হাওড়া, বর্ধমান এবং অন্যান্য শহুরে এলাকায় আজ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বিকেল থেকে সন্ধ্যায়। আইএমডির দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে (১০-১৬ অক্টোবর) এই অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের কাছাকাছি বলে জানানো হয়েছে।
তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২-৩৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে স্থিতিশীল থাকবে। আর্দ্রতা ৬৫-৭৫ শতাংশ, এবং বাতাস পূর্ব-উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ৮-১২ কিলোমিটারের গতিতে বইতে পারে। কলকাতায় আজ সকালে কুয়াশার আভাস দেখা গেছে, কিন্তু দিনের বেলায় আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টির কারণে যানজট এবং সামান্য জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলীয় এলাকায়। গত কয়েকদিনের মনসুনের অবশেষ প্রভাবে এই অস্থিরতা চলছে, কিন্তু পরশু থেকে আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা।