রাজ্যের একাধিক মামলায় তাঁকে নিয়ে চর্চা হয়েছে সবচেয়ে বেশী৷ শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে শুনানি চলাকালীন তাঁর বক্তব্য, মাথায় বন্দুক ঠেকালেও দুর্নীতির বিপক্ষেই তিনি দাঁড়াবেন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে পা রেখেই আইনজীবীদের মন জয় করে নিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। মিলিত হলেন বার এসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে। তাঁকে পেয়ে আপ্লুত আইনজীবীরাও।
সোমবার থেকে শুরু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জলপা সার্কিট বেঞ্চে বসছেন। হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চে মামলার শুনানির পর তিনি জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী নবাব বাড়ি কোর্টে যান। যেখানে রয়েছে জেলা ও দায়রা আদালত । বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জেলা আদালতের বার এসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রায় তিরিশ মিনিট সময় অতিবাহিত করেন । আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে পরামর্শ দেন উপস্থিত আইনজীবীদের ।
সেখানেই সমস্ত আইনজীবীদের হাই কোর্টের সমস্ত আইনজীবীদের অংশগ্রহণের কথা বলেন বিচারপতি৷ তিনি বলেন, যেমন কে রিট করতে পারে, কার বিরুদ্ধে রিট হয়। জুরিসডিকশনটা কী। এইগুলো সব আদালতেই চলে। সাহস করে যাতে হাইকোর্টে আরগু করতে পারেন, সেগুলো আপনারা শিখিয়ে দিতে পারবেন। আমি একজনকে যেমন বললাম, সিনিয়র জুনিয়র শুনব না। তোমাকেই বলতে হবে। একটা নোট লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি বললাম এতে হবে না, তুমি যা জান, তা তোমাকে কনফিডেন্টলি বলতে হবে। খুব ভাল বলেছে। আমি খুব আনন্দিত হয়েছি। ও তৈরিই ছিল, শুধু আত্মবিশ্বাসটা ছিল না। এটাই জুগিয়ে দিতে হবে।
তাঁকে স্বাগত জানিয়ে , জলপাইগুড়ি বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপুল কুমার রায় বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত মানুষের কাছ থেকে আইনি পরামর্শ এবং হাই কোর্ট সম্পর্কে নতুন অনেক জানতে এবং শিখতে পেরে তারা সবাই খুবই আনন্দিত । অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে। তাই তাঁরা আশাবাদী আগামী দিনে এই পরামর্শকে পাথেয় করেই এগিয়ে যাবেন তাঁরা।