আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মধ্যে অবস্থিত জয়ন্তী গ্রামের বাসিন্দারা আজ এক অদ্ভুত সমস্যার মুখোমুখি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবাস যোজনার (Awas Yojana) টাকা ঢোকার পরও, তারা নিজেদের জন্য নতুন বাড়ি তৈরি করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতি জয়ন্তীবাসীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা এবং দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে।
জয়ন্তী গ্রামটি পাহাড় ও নদী ঘেঁষে অবস্থিত, যা বহুদিন ধরে মানুষের বসবাসের স্থান(Awas Yojana) । পর্যটকদের কাছে এই গ্রামটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে, বনদপ্তরের একটি পরিকল্পনা ছিল গ্রামটি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভিতর থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার। এই পরিকল্পনার মধ্যেই, গ্রামের বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার(Awas Yojana) টাকা ঢুকেছে। এই বিষয়টি গ্রামটি সরানোর পরিকল্পনাকে ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। প্রশাসনের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে আরও অনেক উদ্বেগ রয়েছে, কারণ একদিকে আবাস যোজনার টাকা ঢোকালেও, অন্যদিকে জমি সংক্রান্ত সমস্যা এবং পুনর্বাসনের অস্থিরতা গ্রামবাসীদের বাড়ি তৈরির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক দেবব্রত রায় বলেন, “জয়ন্তী গ্রামবাসীরা আবাস যোজনার (Awas Yojana) টাকা পেয়েছেন। তবে জমি সংক্রান্ত একটি সমস্যা রয়েছে, যার কারণে তারা এখনও বাড়ি তৈরি শুরু করতে পারেননি। আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করব এবং বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরির সুযোগ তৈরি করব।”
এদিকে, ডিস্ট্রিক ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মানব বক্সি বলেন, “আমরা প্রশাসনিক মহলে খবর পেয়েছি যে, জয়ন্তী গ্রামকে সরিয়ে নেওয়ার প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা হচ্ছে না। তবে, যদি আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া কীভাবে সম্ভব তা ভাবার বিষয়।”
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, আবাস যোজনায় জয়ন্তী গ্রামে ৭১ জনের নাম ছিল। এর মধ্যে ৬০টির মতো পরিবার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন। ২৬ ডিসেম্বর থেকে জয়ন্তী গ্রামের বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। কিন্তু, টাকা পাওয়ার পরেও, আবাস তৈরির অনুমতি না পেয়ে অনেকে এই টাকা অন্য কাজে খরচ করে ফেলেছেন, যা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছে।
এমন পরিস্থিতিতে, জয়ন্তী গ্রামের বাসিন্দারা একদিকে যেমন ভবিষ্যতের জন্য উদ্বিগ্ন, অন্যদিকে প্রশাসনের আশ্বাসে তাদের মাঝে কিছুটা আশা রয়েছে যে, শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধান হবে এবং তারা নিজের ঘর তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এভাবে একাধিক সমস্যা ঘিরে আবাস যোজনার টাকা ঢোকানোর পরেও কেন তারা ঘর তৈরি করতে পারছেন না?
গ্রামের বাসিন্দারা আশায় আছেন যে, প্রশাসন তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করবে এবং নতুন বাড়ির জন্য তারা যে টাকা পেয়েছেন, তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।