জগন্নাথ এফেক্ট! মোদীর মঞ্চে স্থান নেই দিলীপের

স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিলীপ ঘোষ দিঘায় নতুন জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) দর্শন করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে খোশ গল্প করেছিলেন। বিষয়টি রাজনৈতিক সৌজন্যতা বলে তৃণমূল…

Modi’s Alipurduar Rally Amid BJP Rift

স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিলীপ ঘোষ দিঘায় নতুন জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) দর্শন করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে খোশ গল্প করেছিলেন। বিষয়টি রাজনৈতিক সৌজন্যতা বলে তৃণমূল ও দিনীপ ঘোষ দাবি করলেও বিজেপির অভ্যন্তরে গোঁসার ঝড় উঠেছিল। শুরু হয়েছিল রাস্তায় বিক্ষোভ। দিলীপ ঘোষ দলত্যাগ করতে পারেন বলে দলীয় নেতাদের একাংশ বলছিলেন। দিলীপবাবু নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। তিনি যে নিজ দলে আর তেমন প্রাধান্য পাচ্ছেন না সেটি স্পষ্ট কারণ, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের ঠাঁই হলনা মোদীর জনসভায়।

আলিপুরদুয়ারে মোদীর সভা। প্রধানমন্ত্রীর পূর্বঘোষিত সিকিম সফর আবহাওয়ার কারণে বাতিল হয়েছে। তিনি আলিপুর দুয়ারে সভা করবেন। এই সভা থেকেই রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা দিতে চলেছেন মোদী। এর আগের দুটি বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপি সরকার গড়বে দাবি করেছিল। তবে বিজেপির স্বপ্ন অধরা। এবার তৃতীয় দফায় রাজ্য দখলের ডাক দিয়ে মোদীর সভা শুরু হচ্ছে। সেই সভাতেই অনুপস্থিত দিলীপ ঘোষ!

   

জগন্নাথ এফেক্ট! দিলীপ ঘোষকে ঘিরে এমনই কটাক্ষ শুরু হয়েছে। তিনি বনেছেন, আমি দলের সাধারণ কর্মী। দলীয় নির্দেশ মেনে চলি। মোদীর সভায় দিলীপ ঘোষের না থাকা নিয়ে রাজ্য বিজেপির অপর দুই শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী নীরব।

বৃহস্পতিবার প্রথমে আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মোদী। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার জন্য ১০১০ কোটি টাকার নগর গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এরপর তার রাজনৈতিক সভা। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে মোদীর সফর শুরু হল রাজ্যে।

Advertisements

সামাজিক মাধ্যমে মোদীর দাবি, গত এক দশক ধরে এনডিএ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ প্রশংসা করেছে। তাঁরা তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অপশাসনে ক্লান্ত। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডলে লিখেছে, পরিযায়ী পাখিরা বাংলায় তাদের মরশুমি ভ্রমণ শুরু করছে।
আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা বিজেপি ছেড়েছেন। তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার সঙ্গে আদিবাসী ভোটের বড় অংশ আছে বলে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কেন বার্লা দলত্যাগ করলেন তা দলকেই বিশ্লেষণ করতে হবে।

জন বার্লার দনত্যাগে সাংগঠনিকভাবে কিছুটা ব্যাকফুটে বিজেপি। জানা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গে একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা তৃণমূলের সঙ্গে সংযোগ রেখে চলছেন। বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গার সঙ্গে জন বার্লার দ্বন্দ্ব তীব্র। আবার পরাজয়ের পর কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক নীরব। উত্তরবঙ্গ নিয়ে চিন্তিত বিজেপি।