ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে বিপাকে ডুয়ার্সের চা শিল্প, রপ্তানিতে বড় ধাক্কা

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের অভিঘাতে সারা (Douars)  বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তবে বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের চা শিল্পের জন্য এটি আরও বড় সংকট…

Iran-Israel War Casts Shadow on Dooars Tea Industry; Orthodox Tea Exports Worth ₹150 Crore Stalled

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের অভিঘাতে সারা (Douars)  বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তবে বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের চা শিল্পের জন্য এটি আরও বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরাই এবং ডুয়ার্সের মতো চায়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন অঞ্চলের উৎপাদকরা এখন সেই সংকটের শিকার।(Douars)  কারণ, এই অঞ্চলের অর্থডক্স চায়ের রপ্তানি মূলত ইরান এবং তার সংলগ্ন উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি নির্ভরশীল।(Douars)  মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে এসব বাজারে চায়ের রপ্তানি কার্যত থমকে গেছে, আর এর প্রভাব সোজা গিয়ে পড়েছে চা শিল্পের পুরো চক্রে—যেখান থেকে শুরু করে উৎপাদন, সংগ্রহ, বিক্রয় এবং রপ্তানি, সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে(Douars)  

ইরান ও মধ্যপ্রাচ্য-সংলগ্ন দেশগুলোতে অর্থডক্স চায়ের বড় বাজা(Douars)  

ভারতীয় চা, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের চা, বিশ্ববাজারে এক বিরাট চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে অর্থডক্স চায়ের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য। প্রায় এক তৃতীয়াংশ ভারতীয় চা রপ্তানি হয় ইরান এবং তার সংলগ্ন উপসাগরীয়(Douars)  দেশগুলিতে, যেখানে অর্থডক্স চায়ের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে ভারতীয় চায়ের বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তবে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানে চায়ের রপ্তানি কার্যত স্থগিত হয়ে গেছে, যা প্রায় দেড়শো কোটি টাকারও বেশি রপ্তানি আটকে দিয়েছে(Douars)  

   

এই পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে যখন ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনার কারণে হরমুজ প্রণালীর শিপিং রুট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক (Douars)  পরিবহণ ব্যবস্থা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যেখানে চায়ের রপ্তানি ঠিকভাবে চলতে না পারলে, প্রভাব পড়ছে চা উৎপাদকদের উপার্জনে এবং বাজারমূল্যে।(Douars)  

চায়ের উৎপাদন ও দাম নিয়ে উদ্বেগ(Douars)  

ডুয়ার্সের চা বাগান মালিকরা বর্তমানে অনেকটা উদ্বিগ্ন। চা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চায়ের দাম দ্রুত কমতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে যা ঘটছে তা(Douars)  হল চায়ের বাজারে একটি বড় ধরনের অস্থিরতা এবং সংকট, যেখানে চা বাগান মালিকরা তাদের উৎপাদন ধরে রাখতে পারছেন না। ইতিমধ্যে চা নিলাম কেন্দ্রগুলোতে চায়ের চাহিদা ও দাম কমে গেছে। এর ফলে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে রপ্তানির পথ বন্ধ হওয়ায় আয়ও কমছে(Douars)  

কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় গোপাল চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, “ইরান একাই ২০ মিলিয়ন কেজির বেশি অর্থডক্স চা কিনে থাকে। সেখানে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ চা বিক্রি করা যাচ্ছে না। এছাড়া হরমুজ প্রণালী ও বিমানবন্দরগুলোর পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এতে একদিকে যেমন ইরান, আজারবাইজান ও কাজাখস্তানে চা রপ্তানি বন্ধ, অন্যদিকে বাজারে চায়ের দাম কমছে।(Douars)  

Advertisements

সিটিসি চায়ের দিকে সরে যাওয়ার প্রবণত(Douars)  

এই পরিস্থিতিতে অনেক চা উৎপাদক বাধ্য হয়ে অর্থডক্স চা উৎপাদন কমিয়ে সিটিসি চায়ের দিকে ঝুঁকেছেন। সিটিসি চা অনেক বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা যায় এবং(Douars)  এর চাহিদাও দেশীয় বাজারে বেশি থাকে। তবে, সিটিসি চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি হলেও তার দাম কমছে। এটি চা বাগান মালিকদের জন্য একটি বড় সংকট তৈরি করেছে, কারণ তারা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য রপ্তানির বাজার খুঁজে পাচ্ছেন না।(Douars)  

ভবিষ্যত কি দাঁড়াবে?(Douars)  

চা শিল্পের একাধিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ বন্ধ না হয় এবং পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হয়, তবে চা উৎপাদনকারী অঞ্চলের(Douars)  জন্য এই সংকট আরও দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। চা নিলাম কেন্দ্রগুলোতে চায়ের চাহিদা কমছে, রপ্তানি বাজারে স্থবিরতা এবং দাম কমে যাওয়ার ফলে চা উৎপাদনকারীরা অচিরেই আর্থিক সমস্যায় পড়বেন।

রামঅবতার শর্মা, ডুয়ার্স শাখার সচিব, বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছে আমাদের চা শিল্পে। এখানকার অর্থডক্স চায়ের বাজার ছিল ইরান ও সংলগ্ন দেশগুলোতে। যুদ্ধের কারণে চা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদন ও রপ্তানি খাত দুটোই বিপর্যস্ত।(Douars)