আমদানি রপ্তানি বন্ধ চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে ব্যাবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি

স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সীমান্তের ওপারে বিক্ষোভের কারণে গত রবিবার থেকেবাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চারটি শুল্ক স্টেশন…

স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সীমান্তের ওপারে বিক্ষোভের কারণে গত রবিবার থেকেবাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চারটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। প্রতিদিন এই বন্দরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হয়, যা উভয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তের ওপারে বিক্ষোভের কারণে এই বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাণিজ্য বন্ধের ফলে ব্যবসায়ীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, প্রতিদিন পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষ করে পচনশীল পণ্যের ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারণ তাদের পণ্য সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

   

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তারা উভয় দেশের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাণিজ্য বন্ধের ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন স্থগিত রয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের রাজস্ব আয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্য স্থগিত থাকলে উভয় দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসতে পারে। চ্যাংড়াবান্ধা সুবিধা পোর্টাল কর্তৃপক্ষের দাবি প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ্য রাজস্ব আদায় হয় যা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই আমদানি রপ্তানি বন্ধের কারণে।

শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গেছে এই আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে প্রত্যেকদিন ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ্য জি এসটি শুল্ক আদায় হয় , যা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ। তবে শুল্ক দপ্তর আরো বলেছে যে ইটা সম্পূর্ণ এক্সপোর্টার দেড় বিষয় তাতে দপ্তরের কোনো ভূমিকা নেই। চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় উভয় দেশের যে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সীমান্তের ওপারের বিক্ষোভের দ্রুত সমাধান এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা উভয় দেশের স্বার্থে জরুরি।