অয়ন দে, কোচবিহার: জেলা সদর কোচবিহারের (Cooch Behar) ভবানীগঞ্জ বাজারের ডালপট্টি এলাকায় তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। তাপমাত্রার পারদ ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে। ডালপট্টি এলাকার হনুমান মন্দিরের সামনে বসানো হয়েছে ফগার মেশিন, যা হালকা জলের কণা ছড়িয়ে তাপমাত্রা কমিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিচ্ছে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের।
এই ফগার মেশিনটি গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করছে। বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মানুষ এবং রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীরা এই মেশিনের নিচে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে শরীরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, দুপুরের সময় তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে দোকানে বসে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এই ফগার মেশিন বসানোর পর থেকে গরমের কষ্ট কিছুটা কমেছে। একজন ব্যবসায়ী, রমেশ সাহা, বলেন, “এই গরমে দোকানে বসে থাকা দুষ্কর ছিল। ফগার মেশিনের জন্য এখন অনেকটা আরাম পাচ্ছি। গ্রাহকরাও এসে দাঁড়াচ্ছেন এবং কেনাকাটা করছেন।”
এই উদ্যোগের পিছনে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এই ফগার মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মিনতি বর্মন জানান, “এই গরমে বাজারে এসে কেনাকাটা করতে ভয় লাগছিল। কিন্তু এখন ফগার মেশিনের জলের কণায় শরীর ঠান্ডা হচ্ছে। এটা একটা দারুণ উদ্যোগ।”
এই ফগার মেশিনগুলি সাধারণত মশা নিধনের জন্য ব্যবহৃত হলেও, এই ক্ষেত্রে তা জলের কণা ছড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই মেশিনের কারণে বাজার এলাকায় আর্দ্রতা বজায় থাকছে এবং তাপমাত্রা কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে। এই উদ্যোগ অন্যান্য বাজার এলাকায়ও প্রয়োগের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ। একজন পথচারী বলেন, “কোচবিহারের অন্যান্য বাজারেও যদি এমন ফগার মেশিন বসানো হয়, তাহলে গরমে স্বস্তি পাওয়া যাবে।”