প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম অনুযায়ী, বর্ষাকালে রাজ্যের অভয়ারণ্য (National park) ও জাতীয় উদ্যানগুলো বন্ধ থাকে। বন দফতর এবারও সেই নিয়ম মেনে, ১৬ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের পাঁচটি জাতীয় উদ্যান এবং তিনটি অভয়ারণ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই তিন মাসে পর্যটকরা বনে প্রবেশ করতে পারবেন না, বন্ধ থাকবে জঙ্গল সাফারি। তবে, কিছু সীমিত এলাকায় পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।(National park)
প্রতিবছরের মতো, এই বছরেরও ১৬ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর(National park) পর্যন্ত রাজ্যের ৮টি অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যান বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গালিলা, নেওড়া ভ্যালি, গরুমারা, জলদাপাড়া এবং বক্সা (National park) জাতীয় উদ্যান। সেই সঙ্গে সেঞ্চল, (National park) মহানন্দা এবং চাপড়ামারি অভয়ারণ্যও বন্ধ রাখা হবে। বর্ষার সময়, বন্যপ্রাণীদের প্রজননকাল এবং সবুজ বনাঞ্চল প্রকৃতির রসদ সংগ্রহের সময়, সেই কারণে বন দফতর মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে থাকে।(National park)
এবারে বিশেষত উত্তরবঙ্গে বর্ষা (National park) দ্রুত প্রবেশ করেছে, ফলে সময়ের আগেই বন দফতরের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। ১৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে, অর্থাৎ প্রায় তিন মাস। এই সময়ের মধ্যে, রাজ্যের সমস্ত অভয়ারণ্য(National park) ও জাতীয় উদ্যানের দরজা বন্ধ থাকবে। এই সময়কালে, বনে প্রবেশের সাথে সাথে বন্ধ থাকবে জঙ্গল সাফারিও(National park)
কি কি হবে খোলা:(National park)
তবে, বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গোরুমারা মূর্তি জঙ্গল ক্যাম্প এবং রাজাভাতখাওয়ার বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প পর্যটকদের জন্য খোলা থাকবে।(National park) পাশাপাশি সেঞ্চল অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে, জোড়বাংলো হয়ে টাইগার হিল ভিউ পয়েন্ট পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাও পর্যটকদের জন্য খোলা থাকবে।(National park)
কেন বন্ধ রাখা হয়?(National park)
প্রতিবছর বর্ষায় বনাঞ্চলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এটি মূলত বন্যপ্রাণীদের প্রজননকাল, এবং সেই সময়ে বনে প্রবেশ করলে(National park) জীববৈচিত্র্য এবং বন্যপ্রাণীদের ওপর অপ্রত্যাশিত চাপ সৃষ্টি হতে পারে। তাই, বন দফতর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই সময় বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।(National park)
এছাড়া, বর্ষাকালে বনাঞ্চলের পরিবেশ নরম এবং(National park) ভিজে থাকে, এতে পথচলা কঠিন হতে পারে। জঙ্গল সাফারি চলানোর জন্য যে রাস্তাগুলো তৈরি করা হয়, (National park) তা বর্ষার জলে ডুবে যেতে পারে। ফলে, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বন দফতরের নিয়মাবলি:(National park)
বন দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “রাজ্য ও দেশের সমস্ত অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান প্রতি বছর ১৬ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। এটি(National park) প্রাকৃতিক নিয়ম এবং বন্যপ্রাণীদের জন্য অত্যন্ত(National park) গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় বন্যপ্রাণী নিজেদের প্রজনন কার্যক্রম(National park) শুরু করে, এবং বনাঞ্চল তাদের স্বাভাবিক পরিবেশে আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।”
অন্যদিকে, এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল খোলা রাখা হয়,(National park) যেগুলোতে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। উদাহরণস্বরূপ,(National park) গোরুমারা এবং রাজাভাতখাওয়ার বক্সা প্রকল্প দুটি পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে, যেখানে তাঁরা বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণী দেখতে পারেন, তবে সম্পূর্ণ সাফারি চালানো সম্ভব হয় না।(National park)
মহানন্দা, সেঞ্চল ও চাপড়ামারি অভয়ারণ্য:(National park)
বন দফতর সেঞ্চল, মহানন্দা(National park) এবং চাপড়ামারি অভয়ারণ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অভয়ারণ্যের মধ্যে বন্যপ্রাণীর আস্থানের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং পর্যটকদের দ্বারা কোনও ধরনের বিরক্তি বা ক্ষতি না হওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।(National park)
রাজনৈতিক ও পর্যটন প্রভাব:(National park) বর্ষায় অভয়ারণ্য বন্ধ হওয়া এবং পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়া একদিকে রাজ্যের পরিবেশ সংরক্ষণ ও(National park) বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে বন দফতর মনে করে, এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে রাজ্যের পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।(National park)
অতএব, প্রতি বছরের মতো এবারেও (National park) বর্ষায় অভয়ারণ্যগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে, তবে বন দফতর বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে কিছু অঞ্চল পর্যটকদের জন্য খোলা রাখছে। আশা করা যায়, এই পদক্ষেপ প্রকৃতির সুরক্ষা ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।(National park)