উত্তর দিনাজপুর: সোমবার সন্ধে ৬.৫২ মিনিটে ভয়ঙ্কর গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী। ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছেই এই বিস্ফোরণে এখনও মৃতের সংখ্যা ১০ এবং আহত ২২। এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার নিয়েছিল NIA। তাদের তদন্তেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত বাংলার এক ডাক্তার। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার এই ডাক্তারের নাম জানিসার আলম এবং তিনি আল ফালাহ য়ুনিভার্সিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শুক্রবার গভীর রাতে জানিসারকে আটক করে NIA। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে ধৃত জানিসারকে মুক্তি দিয়েছে NIA। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য জানিসারকে ডালখোলা থেকে ইসলামপুর নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর আরও খতিয়ে দেখার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়িতে। তবে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে NIA তাকে মুক্তি দিয়েছে এবং এই বিস্ফোরণ কাণ্ডে তার হাত নেই বলেও জানিয়েছে গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
১১ বছরের সম্পর্ক শেষ! নাইটদের ছাঁটাইয়ের তালিকায় নাম উঠল একাধিক তারকার
সূত্রের খবর বলছে তিনি লুধিয়ানাতে থাকলেও তার আদি বাড়ি উত্তর দিনাজপুরে ডালখোলা থানার অন্তর্ভুক্ত কোনাল গ্রামে। লুধিয়ানাতে গিয়ে বসবাস শুরু করলেও উত্তর দিনাজ পুরের সঙ্গে তার সংযোগ ছিল। কয়েকদিন আগে এক আত্মীয়ার বিয়েতে যোগ দিতে জানিসার কোনাল গ্রামে আসে এবং তখনই তাকে আটক করে NIA। তদন্তে আগেই জানিসারের নাম উঠে এসেছিল শুক্রবার NIA তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেই তাকে আটক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল NIA। জানিসারকে আটক করে প্রথমে ইসলামপুর এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তের কাকা আবুল কাশেম বলেন তারা জানিসারকে ভালো পড়ুয়া হিসেবেই জানেন কিন্তু জানিসারের এই গোপন কর্মকান্ডের ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না। অবশ্য আবুল কাশেমের বক্তব্যই সত্য প্রমাণিত হল।
পরিবার আগেই দাবি করেছিল জানিসার কোনোরকম অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত নয়। আবার তারা বলছেন যে দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে জানিসারের সমস্ত বন্ধুদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাই জানিসারকেও আটক করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল কোনাল গ্রামে। গ্রামবাসীরা মন্তব্য করেছিলেন, যে ছেলেকে তারা ছোটবেলা থেকে ভদ্র সভ্য এবং ভালো ছাত্র হিসেবে দেখেছেন তার বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ সত্যিই অবিশ্বাস্য এবং তদন্ত, জিজ্ঞাসাবাদের পর NIA ও ধৃত জানিসারকে নির্দোষ সাব্যস্ত করেছে।


