তীব্র গরমে শরবত বিতরণে স্বস্তির উদ্যোগ ভবানীগঞ্জ হনুমান মন্দির কমিটির

অয়ন দে, কোচবিহার: তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কোচবিহারের (Cooch Behar) মানুষের। প্রখর রোদের দাপটে পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা, সকলেই খুঁজছেন একটু স্বস্তির…

Cooch Behar Temple Offers Free Sharbat to Beat Scorching Heat

অয়ন দে, কোচবিহার: তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কোচবিহারের (Cooch Behar) মানুষের। প্রখর রোদের দাপটে পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা, সকলেই খুঁজছেন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস। এই পরিস্থিতিতে মানবিক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এল কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন হনুমান মন্দির কমিটি। তীব্র দাবদাহ থেকে সাধারণ মানুষকে সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার জন্য শুক্রবার তারা শরবত বিতরণের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

Read Hindi: भीषण गर्मी में शरबत वितरण, भवानीगंज हनुमान मंदिर कमेटी की मानवीय पहल

   

ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় মন্দির কমিটির তরফে ঠান্ডা শরবত বিতরণ করা হয়েছে পথচারী, ব্যবসায়ী এবং বাজারে আগত মানুষের মধ্যে। মন্দির কমিটির এক সদস্য জানান, “প্রতি বছর গ্রীষ্মের সময় আমরা এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকি। রোদে যাঁরা কাজের জন্য বাইরে বেরিয়েছেন, তাঁদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলে আমাদের উদ্দেশ্য সফল হবে।” তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচি মানুষের প্রতি তাদের সামাজিক দায়িত্বের একটি অংশ।

শরবত হাতে পেয়ে খুশি পথচারীরা। একজন পথচারী, রমেশ বর্মন, বলেন, “এই গরমে বাইরে বেরিয়ে কাজ করা খুব কষ্টকর। এমন সময় মন্দির কমিটির হাত থেকে ঠান্ডা শরবত পেয়ে সত্যিই স্বস্তি লাগছে। এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।” বাজারে কেনাকাটা করতে আসা একজন গৃহিণী, মায়া রায়, বলেন, “গরমে ক্লান্তি এত বেশি যে কিছুক্ষণের জন্য হলেও এই শরবত পান করে শরীরে একটু জোর পাওয়া যায়।”

মন্দির কমিটির এই উদ্যোগে স্থানীয় বাসিন্দারা উৎসাহিত। তারা মনে করেন, এই ধরনের কাজ সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য বলেন, “ভবানীগঞ্জ হনুমান মন্দির কমিটি শুধু ধর্মীয় কাজেই নয়, এই ধরনের মানবিক উদ্যোগেও সবসময় এগিয়ে থাকে। এটি আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা।”

Advertisements

গরমের তীব্রতা যখন মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে, তখন এই শরবত বিতরণের উদ্যোগ যেন এক ঝলক শীতলতা এনে দিয়েছে। শুধু শরীরের ক্লান্তি দূর করাই নয়, এই উদ্যোগ মানুষের মনে সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বার্তাও ছড়িয়ে দিয়েছে। মন্দির কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, আগামী দিনেও এই ধরনের কর্মসূচি তারা চালিয়ে যাবেন।

স্থানীয় প্রশাসনও এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। একজন প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, “এই ধরনের সামাজিক কাজ সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য বাড়ায় এবং মানুষের মধ্যে সহানুভূতির বোধ জাগায়। আমরা মন্দির কমিটির এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।”

এই গরমে যখন প্রতিটি পদক্ষেপ কঠিন হয়ে পড়ছে, তখন ভবানীগঞ্জ হনুমান মন্দির কমিটির এই উদ্যোগ যেন একটি মরুদ্যানের মতো। শরবতের এক চুমুকে শুধু শরীরই নয়, মনও জুড়িয়ে যাচ্ছে মানুষের। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ আরও প্রশস্ত হবে, এমনটাই আশা সকলের।