অয়ন দে, কোচবিহার: কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পুলিশ অপরাধ দমনে ফের বড় সাফল্য অর্জন করেছে। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মেখলীগঞ্জ থানার পুলিশ একটি দেশি পিস্তল ও কার্তুজসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনা এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তৎপরতার আরেকটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মেখলীগঞ্জ থানার পুলিশ গোপন খবর পেয়ে জামালদহ ফরেস্ট এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুই সন্দেহভাজন যুবককে আটক করা হয়। তাঁদের দেহ তল্লাশি করে পুলিশ একটি দেশি পিস্তল এবং এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। ধৃত যুবকদের মেখলীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয় এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই অস্ত্র কোথা থেকে এসেছে, তারা এটি কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল এবং এর পিছনে কোনও বৃহত্তর অপরাধী চক্র জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ধৃতরা অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য এই অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ধৃতদের নাম এখনও প্রকাশ করেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই গ্রেফতারির ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। একজন বাসিন্দা, সুজিত রায়, বলেন, “এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করা যুবকদের দেখে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। পুলিশের এই তৎপরতায় আমরা অনেকটা নিশ্চিন্ত।” মেখলীগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে অবৈধ অস্ত্র ও চোরাচালানের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তবে জেলা পুলিশের সক্রিয়তায় এ ধরনের অপরাধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
কোচবিহার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপরাধ দমনে তাঁদের কঠোর নীতি অব্যাহত থাকবে। জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা কোনও অপরাধীকে ছাড় দেব না। জেলার শান্তি বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।” পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে।
এই সাফল্য জেলা পুলিশের নজরদারি এবং গোয়েন্দা তৎপরতার প্রমাণ। স্থানীয়রা মনে করছেন, এ ধরনের অভিযান অপরাধীদের মনে ভয় সৃষ্টি করবে এবং এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। গত কয়েক মাসে কোচবিহার জেলা পুলিশ মাদক পাচার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং চুরির মতো একাধিক অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এই ঘটনা সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আরও একবার তুলে ধরেছে।