চড়ক পুজোকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়িতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ

শিলিগুড়ির (Siliguri) চার নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগর এলাকায় চড়ক পুজোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকটি…

Clashes Erupt Over Charak Puja in Siliguri

শিলিগুড়ির (Siliguri) চার নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগর এলাকায় চড়ক পুজোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর। তিনি এলাকাবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে জ্যোতিনগরে চড়ক পুজোর আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হলেও, পরে তা হিংসাত্মক রূপ নেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ এবং সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাড়ির জানালা, দরজা এবং অন্যান্য সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫-৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই প্রধান নগর থানার পুলিশ, টহল পুলিশ এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র‍্যাফ) ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসীকে শান্তি বজায় রাখতে এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”

এলাকার বাসিন্দাদের মতে, চড়ক পুজোর আয়োজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে, পুজোর স্থান এবং আয়োজনের দায়িত্ব নিয়ে মতবিরোধ এই সংঘর্ষের মূল কারণ। তবে, পুলিশ এখনও ঘটনার সঠিক কারণ নিশ্চিত করেনি। সংঘর্ষের পর এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিশেষ নজরদারি চলছে।

Advertisements

স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, “এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার চেষ্টা করছি। এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” তবে, সংঘর্ষের জেরে জ্যোতিনগরে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন, এবং অনেকে আশঙ্কা করছেন যে, পরিস্থিতি আবার অশান্ত হতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। এই ঘটনা শিলিগুড়ির সামাজিক সম্প্রীতির উপর প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় নেতা এবং সমাজকর্মীরা শান্তির বার্তা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছেন।