ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের শালবাড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ভাইয়ের বউকে নিয়ে পালিয়ে গেছে দাদা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী কাজে বাইরে থাকার সুযোগে মাসতুতো দাদার সাথে ওই গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন চলছিল এলাকায়, এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, দাদার সাথে ভাইয়ের বউয়ের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কিছুদিন আগেই বাড়িতে আলোচনা হয়েছিল। জানা গেছে, এলাকার মানুষ এই সম্পর্কের কথা বুঝতে পেরে গৃহবধূর স্বামীকে জানায় এবং সমস্যার সমাধানে স্থানীয় স্তরে একটি বৈঠকও হয়েছিল। বৈঠকে বিষয়টির নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তারপরও দাদার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া থামানো যায়নি।
এলাকার এক বাসিন্দা জানান, “প্রথমে আমরা বুঝতে পারিনি, কিন্তু পরে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। স্বামী কাজের জন্য বাইরে থাকায়, মাসতুতো দাদা ও ভাইয়ের বউয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই মিলে আলোচনা করার পরও কিছু করতে পারিনি।”
শুক্রবার রাতে গৃহবধূ তার দেড় বছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা দাদা ও গৃহবধূকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা সফল হতে পারেননি। পালানোর আগে গৃহবধূ নিজের কিছু কাপড়-চোপড় নিয়ে চলে যান এবং পরে জানা যায়, তাকে তার দাদার সঙ্গে কোথাও নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, দাদার বউও স্থানীয় এলাকাতেই অন্যত্র পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনা এলাকার মানুষকে হতবাক করেছে, এবং শালবাড়ি এলাকার পরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এটি একটি পরিবারে বড় ধরনের অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত তাদের ফিরিয়ে আনা হবে এবং পরিবারের এই অশান্তি দূর হবে।”
এলাকার স্থানীয় পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং পালিয়ে যাওয়া দাদা ও গৃহবধূকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তবে, পুলিশ এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দাদার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং গৃহবধূও যাতে নিরাপদে ফিরতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, এই ঘটনার ফলে পুরো এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যরা শোকাহত।
এ ঘটনাটি শুধু ওই পরিবারেরই নয়, পুরো এলাকায় একটা বড় প্রশ্ন উঠিয়েছে। এত দিন ধরে চলছিল সম্পর্ক, কিন্তু স্থানীয় স্তরে আলোচনা ও বৈঠক করার পরও এ ধরনের পালানোর ঘটনা কীভাবে ঘটলো, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
এখনো এই ঘটনার শেষ কোথায় যাবে, তা স্পষ্ট নয়, তবে এলাকাবাসী এই বিষয়ে আরো তথ্য পেতে এবং দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছেন।