আদিবাসী মহিলাকে খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জের ঘটনা। তদন্তে নেমে সৎভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জমিজমার বিবাদের কারণেই খুন হতে হয়েছে মহিলাকে। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumdar)। ‘নির্দোষ’ ভাইকে মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন তিনি।
শুক্রবার বালুরঘাটের কুমারগঞ্জের ফকিরগঞ্জ এলাকার বড়োবাসা গ্রামের কাছের জঙ্গলে আদিবাসী মহিলার মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।।
জানা গেছে বুধবার বিকেলে এলাকারই হাটে যাওয়ার পর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ বাড়ি থেকে কয়েক মিটার দূরে মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন সৎ মা।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে মহিলাকে৷ পরে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায় মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়নি। ঘটনায় সৎ ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু নির্দোষ বলে দাবি করে সৎ ভাই। ওই নির্দোষ ব্যাক্তিকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে তাকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ করে স্থানীয়রা।
শুক্রবারই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেন তিনি। একজন ভাই তার বোনকে কখনই খুন করতে পারে না। অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে পথ অবরোধে শামিল হন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ তদন্ত না করেই ভাইকে গ্রেফতার করেছে।অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার দাবি যে সমস্ত নিরীহ গ্রামবাসী পথ অবরোধে সামিল হয়েছিল তাঁদেরও প্রতিবাদ করার অপরাধে ধরে নিয়ে গেছে। অবিলম্বে সকলকে মুক্তি দিতে হবে।
সুকান্ত মজুমদার জানান, রাজ্য জুড়ে একটার পর একটা ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ জনগনকে নিরাপত্তা না দিলেও তৃণমূল নেতাদের বাড়ি পাহারা দিতে ব্যস্ত। ময়নাতদন্তের সময় কেন ভিডিওগ্রাফি করা হল না? এই প্রশ্নও তোলেন তিনি৷ ঘটনার পর থেকেই এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মোতায়েন বিরাট পুলিশ বাহিনী। নামানো হয়েছে র্যাফ।