পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে বলে বারবার দাবি করেছেন গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত মহারাজ। একই দাবিতে সরব আরেক কোচ নেতা বংশীবদন বর্মন। রাজ্য ভেঙে আলাদা উত্তরবঙ্গ প্রশাসন গঠনের মাঝে দার্জিলিং ও কালিম্পং দুই জেলা নিয়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) দাবি তুলছেন পাহাড়ি নেতারা।
পাহাড় নিয়ে সমাধানের দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন তামাং। একই সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু ভিস্তাকেও সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যারা ১৯৮৮ সালে বাম আমলে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল (DGHC)র ত্রিপাক্ষিক চুক্তি এবং ২০১১ সালের জিটিএ (GTA) চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন সেই রাজনৈতিক দলগুলির প্রধানকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বিনয় তামাং জানিয়েছেন, ১৯৮৮ এবং ২০১১ সালের চুক্তিতে জাতির স্বার্থে সকলে একমত হয়েছিল। তবে সেক্ষেত্রে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি কেবল স্থগিত রাখা হয়েছিল। জিটিএ এবং ডিজিএইচসি কেবল একটি অস্থায়ী সমাধান ছিল এবং এখন পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান
হওয়া উচিত।
বিনয় তামাং জানান, পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন জিটিএ চুক্তির বিরোধী। চুক্তিতে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন করার কথা বলা আছে। যারাই এই কাজ করছেন তাঁরা আইন বিরোধী কাজ করছেন।