কলকাতা: অক্টোবরের শেষ দিকে ঘূর্ণিঝড় মন্থার ছায়ায় ভেসে যাওয়া বঙ্গের আকাশ আজ, ৬ নভেম্বর, একটু শান্ত হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি স্বস্তি নেওয়ার সময় হয়নি। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)-র সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, উত্তর বঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যখন দক্ষিণ বঙ্গে বেশিরভাগ জায়গায় শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও কয়েকটি জেলায় বজ্রপাতসহ হঠাৎ বৃষ্টি পড়তে পারে।
শুধু বৃষ্টি নয়, উত্তরের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি এবং দক্ষিণের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখিয়ে আইএমডি সাধারণ সতর্কতা জারি করেছে। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের মধ্যে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা আজ বিস্তারিত বলব।উত্তর বঙ্গের কথা আগে বলি। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদা, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলোতে গত সপ্তাহ ধরে ঘূর্ণিঝড়ের অবশিষ্টাংশে অঢেল বৃষ্টি পড়েছে।
‘গুজরাট ফাইলস’- সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকিতে সুরক্ষা দেবে মোদী সরকার
আইএমডি-র সপ্তাহিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের জন্য বিশেষ করে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর পাহাড়ি এলাকায় বজ্রপাতসহ হালকা বৃষ্টির আশা করা হচ্ছে। তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২২-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৫-১৮ ডিগ্রি থাকবে, যা গতকালের তুলনায় একটু কম।
আর্দ্রতা ৭০-৮৫ শতাংশের মধ্যে থাকায় বাতাসে একটা আর্দ্রতাপূর্ণ ভাব থাকবে। বাতাসের গতি ১০-১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। আইএমডি-র সতর্কতায় বলা হয়েছে, খোলা জায়গায় বজ্রপাতের সময় আশ্রয় নিন, কারণ এই সময় বিদ্যুৎস্ফুলিঙ্গের ঝুঁকি বাড়ে। চা বাগানের শ্রমিকরা এবং পর্যটকরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন।
গতকাল জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির কারণে কয়েকটা রাস্তায় জল জমে যায়, যা আজও সমস্যা তৈরি করতে পারে।এখন দক্ষিণ বঙ্গের দিকে চোখ ফেরাই। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলোতে আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। আইএমডি-র পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ জায়গায় শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে, কিন্তু এক-দুটি জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রপাত হতে পারে।
কলকাতায় আজ আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১-৩২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘুরবে। আর্দ্রতা ৭৫-৮২ শতাংশ, যা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটু অস্বস্তিকর হতে পারে। বাতাস দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ৭-৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বইবে। পুরুলিয়া এবং বীরভূমে সকালে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে, যা যানজনের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।


