শুরু বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন: নজর উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পে

উত্তরবঙ্গ বরাবরের মতই শিল্প থেকে বঞ্চিত, জমি সমস্যা না থাকলেও আনুষাঙ্গিক অনেক সমস্যার জন্য শিল্পপতিরা উত্তরবঙ্গকে শিল্পের জন্য বেছে নেননি কখনো। এমনকি ক্ষুদ্র ও মাঝারি…

শুরু বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন: নজর উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পে

উত্তরবঙ্গ বরাবরের মতই শিল্প থেকে বঞ্চিত, জমি সমস্যা না থাকলেও আনুষাঙ্গিক অনেক সমস্যার জন্য শিল্পপতিরা উত্তরবঙ্গকে শিল্পের জন্য বেছে নেননি কখনো। এমনকি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও বিনিয়োগ নেই , তাই একমাত্র পর্যটন শিল্পের উপরেই ভরসা করতে হয়েছে বার বার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে বাংলা বাণিজ্য মেলা ,আর তাতেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪০ জন প্রতিনিধি এসে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের উন্নতির কথাও তুলে ধরা হবে , হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরার চেষ্টা করবে।

উত্তরবঙ্গের জন্য সরকারের ভাবনা কি এবং পর্যটন শিল্পকে কি করে আরো উন্নত করা যায় তার দিকেই নজর থাকবে উত্তরবঙ্গবাসীর। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গের পর্যটনে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স, জলপাইগুড়ি, ও কার্শিয়াং-এর মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুন রিসর্ট, ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্প, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস এবং আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজ্যের পর্যটন দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, “উত্তরবঙ্গের পর্যটনশিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগ বাড়ানো গেলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই অঞ্চলকে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।” পর্যটনের মেরুদন্ড হলো হসপিটালিটি এবং ইতিমধ্যেই হোটেল, রিসোর্ট ডেভেলপমেন্টের উপর বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে।
পর্যটনশিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করতে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। সম্ভাব্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ নতুন হেরিটেজ হোটেল নির্মাণ, ডুয়ার্সে ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্পের সম্প্রসারণ, বাগডোগরায় আন্তর্জাতিক পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধির পরিকল্পনা, গুরুংবাসী, লেপচা ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে পর্যটন ব্র্যান্ডিং, নতুন ট্রেকিং রুট ও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুযোগ বৃদ্ধি।

Advertisements

তবে বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনের দিন প্রস্তাবনার সুযোগ পাওয়া যাবেনা বলেই মনে করেছেন উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান। তবে বৃহস্পপতিবার পর্যটন সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হবে। পর্যটনশিল্পের বিকাশের ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে বড়সড় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।