ফের উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টি, সাত জেলায় সতর্কতা জারি

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া পরিস্থিতি আবারও সতর্কতার জন্য সংকেত দিচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টির (Thunderstorms and Heavy Rain)…

Record Rainfall in Gujrat

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া পরিস্থিতি আবারও সতর্কতার জন্য সংকেত দিচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টির (Thunderstorms and Heavy Rain) কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।

Advertisements

বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। এই জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ৩০–৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা স্থানীয়ভাবে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

   

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলায় আজকের দিনে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে দুর্যোগের পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। বিশেষ করে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে এবং নিচু এলাকায় প্লাবনের সম্ভাবনা রয়েছে।

দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি হয়েছে। এছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সিকিম, উত্তরবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির কারণে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। পার্বত্য এলাকার নদী ও জলাধার দ্রুত পূর্ণ হতে পারে, যা জনজীবন ও স্থানীয় অবকাঠামোর উপর প্রভাব ফেলবে।

আবহাওয়া দপ্তর পরামর্শ দিয়েছে, নাগরিকরা অপ্রয়োজনীয় বাইরে যাত্রা এড়ানো, পাহাড়ি এলাকা ও নদীর কাছাকাছি অবস্থান এড়ানো এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা জরুরি। স্থানীয় প্রশাসনকে পাহাড়ি এলাকা এবং ধসপ্রবণ স্থানে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষি এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজকর্মে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। পর্যটকরা হোটেল বা নিরাপদ আশ্রয় থেকে বাইরে বের না হওয়াই শ্রেয়।

আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, সোমবারও বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টি চলবে। তবে মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে।

স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সবাইকে নিজ এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকা, নদী এবং নিচু এলাকায় অতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের এই আবহাওয়া পরিস্থিতি জনজীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। মানুষকে সব ধরনের ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক থাকতে হবে।