আষাঢ় পড়তেই সকাল থেকেই অঝোরে বৃষ্টি। তবুও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই চলছিল সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষের (Susanta Ghosh) কর্মসূচি। জঙ্গলমহলের দাপুটে নেতার বক্তব্য শুনতে বৃষ্টিতেই ঘন্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকলেন কর্মীরা৷ সেখানেই চিরকুট রহস্যের ব্যাখা দিলেন সিপিআইএম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক৷
শনিবার ক্ষীরপাই এরিয়া কমিটির উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সুশান্ত ঘোষ দিলেন চিরকুটের ব্যাখ্যা। তিনি বলেন, সাংসদ, বিধায়ক বা জনপ্রতিনিধিদের কাছে যখন কাউকে পাঠানো হয়, তখন চিঠি লিখে সুপারিশ করতে হয়৷ রাজ্যের শাসক দল যে দুর্নীতি করেছে তার সঙ্গে সিপিআইএমের চিরকুটের কোনও সামঞ্জস্যতা নেই।
সুশান্ত ঘোষ বলেন, দুর্নীতি সেটাই যখন শাসক দলের নেতা সরকারি আধিকারিকদের চিঠি লিখে সুপারিশ করে৷ তাই যে চিরকুট তৃণমূল প্রকাশ করেছে সেটা কোনও দুর্নীতির পর্যায়ে পড়েই না। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে যারা এধরনের প্রচার করছেন তাঁরা মুর্খ ছাড়া আর অন্য কিছু নয়।
বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হতো মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির পর রাজ্যজুড়ে শুরু হয় গত বামফ্রন্ট আমলে চাকরির নির্দেশ সংক্রান্ত চিরকুট খোঁজার পালা। অবশেষে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে একটি চিরকূট মেলে, তাতো সিপিআইএম দলের নাম লেখা চিঠিতে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। তবে চিরকুট যে ভুয়ো সেই নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন বাম ফেসবুক গ্রুপ। তাতে চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের তরফে যে চিরকুট প্রকাশ করা হয়েছে সেটি সিপিআইএমের পতাকা ও দলীয় নাম লেখা সাদা পাতায় একটি চিঠি। এতে এক নেতা অপর নেতা সিপিআইএমের লেটারপ্যাডে লেখা চিঠিতে জানাচ্ছেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ছেলে মোহিতলাল হাজরা। গ্রাম পালজাগুন, পোস্ট-জাগুল। দুঃস্থ পরিবারের ছেলে এবং বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। ধেড়ুয়া অঞ্চল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গ্রুপ ডি পদে যে লোক নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে যাহাতে একে নেওয়া যায় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানাচ্ছি। পরে সঙ্গে সাক্ষাত করে নেবো। ২০০৮ সালে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে খগেন্দ্রনাথ মাহাতোকে। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে এক প্রভাবশালী বাম নেতার তরফেই। এই তৃণমূলের তরফে এই ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। তাতেই শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
পূর্বতন চৌত্রিশ বছরের শাসকদল সিপিআইএমকে কটাক্ষ করে বর্তমান শাসক টিএমসির দাবি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির যথার্থতা প্রমাণ করে। সেই চিরকুটের ব্যাখা দিলেন সুশান্ত ঘোষ।