স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লালকেল্লায় দেওয়া বক্তৃতা ঘিরে শুরু হয়েছিল বিতর্ক (Banglapokkho)। কংগ্রেস থেকে বাম সকলেই সরব হয়েছিল স্বাধীনতা দিবসে RSS এর ১০০ বছর পূর্তি স্মরণ করাকে কেন্দ্র করে। এবার এই ঘটনায় মুখ খুলল বাংলাপক্ষ।
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা গর্গ চট্টপাধ্যায় তার এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে বলেছেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যারা নিজেদের আত্মবলিদান দিয়ে এই দেশের স্বাধীনতা এনেছে তাদের পিছনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নাম নিয়েছেন সাভারকারের আর RSS এর।
তিনি বলেছেন মোদী সংঘকে নেতাজি এবং জাতীয় পতাকার থেকেও উপরে রেখেছেন। স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় এক জনসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে গর্গ বলেন আজ বাঙালি এবং বাংলা ভাষার উপরে বিজেপি যেভাবে আঘাত করছে। তাদের শাসিত রাজ্যে যেভাবে বাঙালিদের নিগৃহীত হতে হচ্ছে তা লজ্জার।
যে ভারতবর্ষ স্বাধীন করতে বাঙালিরা তাদের রক্ত দিয়েছিল আজ সেই বাঙালিরা বাংলার বাইরে বাংলা বললে তাদের বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “বিজেপির এই পদক্ষেপ কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। তারা তাদের হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাকে প্রচার করতে ইতিহাসকে নতুনভাবে লেখার চেষ্টা করছে।
সাভারকারের ছবি জাতীয় পতাকার উপরে স্থাপন করা কেবল প্রতীকী নয়, এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের প্রতি অসম্মান প্রকাশ করে। আমরা বাঙালিরা এই অপমান সহ্য করব না। নেতাজীর আদর্শ এবং বাঙালির গর্ব আমাদের রক্তে মিশে আছে। আমরা বিজেপির এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।”
গর্গ বলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্বে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি ১৯৪৩ সালে আন্দামানে ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, যা ছিল ভারতের প্রথম মুক্ত ভূখণ্ডের প্রতীক।
অন্যদিকে, সাভারকার ব্রিটিশদের কাছে দয়ার আবেদনপত্র লিখে ক্ষমা ভিক্ষা করেছিলেন এবং ব্রিটিশ শাসনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ‘কুইট ইন্ডিয়া’ আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং ব্রিটিশদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন।
হাওড়া–জামালপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু, জেনে নিন সময়সূচি, ভাড়া ও রুটের বিস্তারিত
এমন একজন ব্যক্তিকে নেতাজীর উপরে স্থান দেওয়া সমগ্র বাঙালি জাতির প্রতি অপমান।” তিনি বলেন গোটা ভারতবর্ষ থেকে এই বাঙালি জাতিকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই বিজেপি, নেতাজি এবং বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কৃতিত্ব এবং তাদের আত্মবলিদান স্বীকার করতে চায় না।