বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তথা সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে ভাষা আন্দোলন (Netaji Researcher)। বাংলার বাইরে প্রধানত বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা এবং নিগ্রহের প্রতিবাদে আবার এই বাংলার বুকে তিনি শুরু করেছেন ভাষা আন্দোলন।
প্রসঙ্গত আজ ইলাম বাজারের জনসভায় দাঁড়িয়ে উদাত্ত কণ্ঠে মমতা বলেছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে যে বাঙালিরা বিপদে পড়েছেন বা যাদের অকারণে নিগৃহীত হতে হচ্ছে তাদের অপমান সহ্য করে ভিন রাজ্যে পরে থাকতে হবে না।
তিনি আরও বলেছেন নিগৃহীত বা নিগৃহীতার এই রাজ্যে ফিরে এলে তিনি কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তিনি জানান, রাজ্যে আরও নতুন প্রকল্প, শিল্প এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে যাতে এই পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘরে ফিরে উপার্জনের পথ খুঁজে পান। এই বক্তব্যকেই কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন প্রখ্যাত নেতাজি গবেষক চন্দ্রচূড় ঘোষ। তিনি বর্ধমানের ভূমিপুত্র হলেও কর্মসুত্রে আজ তিনিও প্রবাসী।
তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বাংলার বাঙালিদের প্রতি কি দায়িত্ব পালন করছে সরকার। এখন পরিস্থিতি অনুযায়ী এবং সর্বোপরি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রাণ কাঁদছে সরকারের। তিনি এও বলেছেন বাংলার বাঙালিরা মরুক, কিন্তু এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার শুধু মাত্র বিজেপি শাসিত বাঙালিদের।
চন্দ্রচূড়ের এই পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা এবং তাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিন্তু বেশিরভাগ সমালোচক চন্দ্রচূড়ের মন্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়ে সমর্থন করেছেন। কেউ আবার সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ঘাটালের বাঙালিদের দুর্ভোগের কথা। ছাব্বিশ হাজার বাঙালি শিক্ষকের কর্মহীনতার কথা।
আবার কেউ কেউ বলেছেন ভাষা আন্দোলন ভালো কথা কিন্তু সরকার কি জবাব দেবে যে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় আজকের দিনে বাংলা মিডিয়ামের বেহাল অবস্থার জন্য দায়ী কে। শিক্ষক নেই, যোগ্য শিক্ষা কর্মী নেই ছাত্ররা কি শুধুই মিড্ ডে মিল খেতে স্কুলে আসবে। পঠনপাঠন অনিয়মিত।
এলজি মানহানি মামলা, দিল্লি হাইকোর্টে মেধা পাটকরের সাজা বহাল
কিছু কিছু জায়গায় সময়ের কোনো মাপকাঠি নেই প্রত্যেকে নিজেদের সময় মত স্কুলে আসছে। এতে বাঙালি এবং বাংলা ভাষার উন্নতি হচ্ছে তো। তবে রাজ্যের বাঙালিদের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে চন্দ্রচূড়ের এই বক্তব্ব্য অত্যন্ত যুক্তি সঙ্গত এবং এই ভাষা আন্দোলন এবং হঠাৎ করে জেগে ওঠা বাঙালি প্রীতি যে শুধুই রাজনৈতিক কৌশল তা বলাই বাহুল্য।