স্কুল কলেজের পাঠ্যে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু (Netaji) ছিলেন আছেন এবং থাকবেন। যুগ যুগ ধরে তাকে নিয়ে হবে গবেষণা। কিন্তু ভারতবর্ষ যে তাকে অপমান, অবমাননা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি। ঠিক এমনটাই প্রমাণিত হল কেরলের পাঠ্য বইয়ের খসড়া দেখতে গিয়ে। সেখানে পরিষ্কার ভাষায় লেখা ব্রিটিশদের ভয়ে পালিয়ে নেতাজী জার্মানি চলে যান।
এর পরে অবশ্য বই ছাপানো বন্ধ করে সেই ভুল সংশোধন করা হয়। তবে শিক্ষামন্ত্রী এই ভুল শিকার করলেও প্রশ্ন উঠেছে যারা খসড়া তৈরী করেছেন তাদের ভূমিকা নিয়ে। এই ঘটনায় স্বভাবতই শুরু হয়েছে সমালোচনা। কমিউনিস্টরা যে বরাবর নেতাজীর সমালোচনা করে এসেছে তাও উল্লেখ করেছেন অনেকে।
এই কমিউনিস্টরাই একসময় জাপানে থাকাকালীন নেতাজীকে তোজোর কুকুর বলেছিল সেই ঘটনাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অনেকে। সেই সময় এই বামেরাই নেতাজিকে নিয়ে নক্কারজনক কার্টুন আঁকা শুরু করে এবং নেতাজী বিরোধী প্রচার শুরু করে। শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবনকুট্টী ক্ষমা চেয়ে ভুল শিকার করলেও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মোতে ওই বইতে আরও অনেক ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে যা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পক্ষে ভীষণ অবমাননাকর।
সমালোচককূল ও তাদের প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েনি তারা বাম শাসনের উদাহরণ তুলে বলেছেন বামেদের ইতিহাস অন্ধকারের ইতিহাস। তারা সবসময় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিশেষ করে নেতাজীর অবমাননা করেছে। অনেকে আবার বলেছেন নেতাজী নিজে মার্কসবাদী ছিলেন কিন্তু আজকের কমিউনিস্টরা মার্কসের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে।
নেতাজী সত্যিই মার্কসবাদী ছিলেন বলে দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন বাঙালিরা। তারাও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন বাংলার মানুষ হাড়ে মজ্জায় বুঝে গেছে বামেদের। ৩৪ বছরের অপশাসনে বাঙালিদের কয়েক প্রজন্ম শেষ করে দিয়েছে বামেরা।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যার্থতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল বামেরা। আবার অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন যারা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ইংরেজি তুলে দিতে পারে। যারা কম্পিউটারের মত প্রযুক্তিকে অস্বীকার করে তারা নেতাজীকে অস্বীকার করবে এটাই স্বাভাবিক। যদিও এই ভুল যারা করেছিল তাদের নিজ নিজ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার।
এসবিআইয়ের নতুন নিয়ম কার্যকর, ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন একেবারে ফ্রি
কিন্তু একজনকে সরালেও হয়তো এই ভুল বা ইচ্ছাকৃত ভুলের বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে আরও মানুষের মধ্যে। তাই বাম রাজ্যে আবারও ইতিহাসের বিকৃতি হতে পারে এই আশংকায় দিন গুনছেন অসংখ্য ভারতবাসী এবং নেতাজী অনুরাগী।