সিপিআইএম (CPIM) নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যর (Tanmoy Bhattacharya) বিরুদ্ধে ‘পোটেন্সিয়াল রেপিস্ট’ শব্দ প্রয়োগ ও শ্লীলতাহানির অঊিযোগ তুলেছেন এক মহিলা সাংবাদিক। তার অভিযোগে ‘স্তম্ভিত’ তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি সব অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, সে বারবার আমার বাড়িতে এসেছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তখন কেন এমন কিছু বলেনি। কেন সে আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে অল্প দূরে থানায় তখনি যায়নি?
সামাজিক মাধ্যম বিশেষ পরিচিত ইউটিউব চ্যানেলটির সাংবাদিক ফেসবুক লাইভে দাবি করেন, তিনি যখন সা়ক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তখন তার কোলে তন্ময় ভট্টাচার্য বসে পড়েন। মূলত এই অভিযোগের ভিত্তিতে ও তন্ময় ভট্টাচার্যর পাল্টা দাবি যাচাই করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিবৃতি দিয়ে সিপিআইএম জানিয়েছে তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তন্ময় ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তন্ময়বাবু জানিয়েছেন, আমি তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছি।
তীব্র বিতর্ক আরও উসকে গেছে সামাজিক মাধ্যমেই তন্ময়বাবুর পড়শিদের দাবি। তারা বলছেন, যে মেয়েটা শ্লীললতাহানির অভিযোগ তুলেছে সে তন্ময় ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেছিল। ক্যামেরাম্যানও হাসছিল।’ এক এলাকাবাসী বলছেন, এই পাড়ার সিপিএম, বিজেপি, তৃ়নমূল বা কংগ্রেস কোনো দলেরই সমর্থক মেয়েটার অভিযোগকে পাত্তা দিচ্ছে না। এক মহিলা জানান, সাক্ষাৎকার যখন চলছিল তখন আমি ওই ঘরের পাশ দিয়ে গেছিলাম। কিছু দেখিনি।
শ্লীললতাহানিতে অভিযুক্ত তন্ময় ভট্টাচার্যের পড়শিরা আর়ও বলছেন, ওদের বাড়ির সামনে সবসময় ভিড় থাকে। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকারে হচ্ছে দেখে সময় আমি ঘর থেকে বেরিয়ে পাশে দরজার কাছেই দাঁড়িয়েছিলাম। সাক্ষাৎকার শেষে মেয়েটা হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেছে।
সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যর দাবি, অভিযোগকারী ভদ্রমহিলাকে ফোন করে আমি জানতে সে কেন এমন অভিযোগ করল। সে বলে তার যা মনে হয়েছে তাই করেছে।